প্রত্যেকেরই নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খাওয়া উচিত। এটি স্বাস্থ্য ভাল রাখা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি হজম শক্তিও বাড়ায়। সবুজ শাকসবজিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি পাওয়া যায়, যার মধ্যে একটি হল ভিটামিন-কে। এই ভিটামিনের ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু যখন এমনটা ঘটে, তখন অতিরিক্ত রক্তপাত, হৃদরোগের ঝুঁকি, দুর্বল হাড় এবং রক্ত জমাট বাঁধার মতো গুরুতর অবস্থা তৈরি হতে পারে। মানুষের কমপক্ষে ১২০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-কে প্রয়োজন। এই প্রতিবেদনে ৪টি ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার নিয়ে আলোচনা করা হবে। তবে তার আগে জানা দরকার, এই ভিটামিনের উপকারগুলি কী কী।
ভিটামিন-কে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা
ভিটামিন কে স্বাস্থ্যের অনেক উপকার করে। এটি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে, যা দ্রুত ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। ভিটামিন কে-এর অভাবে শরীরে সামান্য আঘাতেও রক্তপাত শুরু হয়ে যায় (Vitamin K Deficiency)। এছাড়াও এর অন্যান্য কর্যাবলীগুলো হল হার্ট সুস্থ রাখা, হাড় শক্তিশালী করা এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করা।
পালং শাক
পালং শাক ভিটামিন কে-এর চাহিদা পূরণের সবচেয়ে সহজ উৎস। এটি মোটামুটি সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায়। এতে আয়রন, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ই সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এক কাপ সেদ্ধ পালং শাক খেলে দেহের অনেক পুষ্টির চাহিদা পূরণ হতে পারে।
ব্রোকলি
ব্রোকলি বাজারে খুব সহজেই পাওয়া যায়। এটি ভিটামিন কে সমৃদ্ধ একটি সবজি, যা হাড়ের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া ব্রোকলি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং অনেক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।
লেটুস
ভিটামিন কে-এর একটি দারুণ উৎস (Vitamin K Sources) হল লেটুস। এটি হাড়ের ঘনত্ব এবং হাইড্রেশন বাড়ায়। উপরন্তু, এটি দৃষ্টিশক্তি এবং ঘুমের গুণমানও উন্নত করে। তাই ভাল ঘুমের জন্যও লেটুস বেছে নিতে পারেন।
ডিম
ডিম প্রতিদিন খাওয়া যেতে পারে এবং এটি ভিটামিন K2 সমৃদ্ধ। ডিমে রয়েছে আয়রন, ভিটামিন, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, উচ্চ প্রোটিন, মিনারেল এবং ক্যারোটিনয়েড। ডিম শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বাড়ায়, দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে এবং গুড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
আরও পড়ুন - ক্যানিংয়ে মহিলা TMC কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, ঘনীভূত রহস্য