
মদের চাট। সুরা-প্রেমীদের কাছে বিষয়টা, সবজি ছাড়া রুটি খাওয়া আর চাট ছাড়া মদ খাওয়া একই। আসলে মদের ঝাঁঝ ও একঘেয়েমি সামলাতেই চাট ব্যবহার করা হয়। নেশার সঙ্গে জিভেরও সুখ। ধনী বা গরিব, আর্থিক সামর্থ অনুযায়ী চাট রাখেন মদ পান করার সময়। তবে ভারতে মদে চাটে নুন মাখানো বাদাম বেশ জনপ্রিয়। অন্য অনেক রকমের চাট থাকলেও নুন মাখানো বাদামের চাহিদাই বেশি। এখন প্রশ্ন হল, মদের চাটে নুন মাখানো বাদাম কেন এত জনপ্রিয়?
'ফ্রি বাদাম' মানে লাভ
মদের সঙ্গে বাদাম খাওয়ার পিছনেও রয়েছে বিজ্ঞান। বাদাম খেলে দ্রুত তেষ্টা পায়। পেগ তাড়াতাড়ি শেষ হয়। আর বাদামে যদি একটু নুন থাকে, তা হলে জিভের একঘেয়েমিও কেটে যায় দ্রুত। এছাড়া নুন জল শুষে নেয়। বাদাম ও নুনের মিশ্রণ তেষ্টা বাড়ায়। আর যখন তেষ্টা বাড়ে, মদের গ্লাসে চুমুকও বাড়ে। নুন মাখানো বাদাম খেতে খেতে মদ খেলে অনেকে নিজের ক্ষমতার চেয়ে বেশিও খেয়ে ফেলতে পারেন।
আরও পড়ুন: কেন বেশির ভাগ মদের বোতল ৭৫০ml হয়? পাইট-নিপ সহ জানুন পুরো হিসেব
বিজ্ঞান কী বলছে?
অনেক মদের ঝাঁঝ বেশি হয়। নুন-বাদাম খেলে সেই মদের গ্লাসে চুমুক দেওয়া সহজ হয়ে যায়। কিছু বিজ্ঞানীর মতে, বিয়ারের সঙ্গে বাদাম খাওয়া ভাল। শরীরে জলের অভাবে ডিহাইড্রেশন রুখে দেয় এই কম্বো। কারণ, বাদামে পটাশিয়াম থাকে, বিয়ারে থাকে কার্বোহাইড্রেট। শরীরে জলের অভাব হলে রিহাইড্রেট করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: Country Liquor: পুজোর আগেই নয়া ব্র্যান্ডিংয়ে বাংলার দেশি মদ, সামান্য বাড়ছে দামও
শরীরে জন্য ভাল নয় বাদাম
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাদাম বেশি খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার অ্যালকোহলও কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয় শরীরে। আবার বাদামে প্রচুর ফ্যাট থাকে। হজমের গোলমাল হয়। সব মিলিয়ে অচিরেই ওজন বেড়ে শরীর স্থূল হয়ে যায়।