scorecardresearch
 

World Health Day 2022 : দুর্বল হয়ে পড়ছেন? রইল বিশ্বের সেরা ১০ স্বাস্থ্যকর খাবারের সন্ধান

মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে প্রতি বছর ৭ এপ্রিল 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস' (World Health Day 2022) উদযাপিত হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক পৃথিবীর ১০টি স্বাস্থ্যকর জিনিস সম্পর্কে, যেগুলি অবশ্যই ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • পালং শাক একটি সুপার ফুড
  • আখরোটও স্বাস্থ্যের পক্ষে বিশেষ উপকারী
  • জেনে নিন বিশ্বের সেরা ১০ খাবার সম্পর্কে

খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত করলে শরীর ও মন দুই সুস্থ থাকে। খাদ্যাভ্যাস কাজ, সম্পর্ক এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে, তাই এতে কোনওরকম গাফিলতি করা উচিত নয়। মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে প্রতি বছর ৭ এপ্রিল 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস' (World Health Day 2022) উদযাপিত হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক পৃথিবীর ১০টি স্বাস্থ্যকর জিনিস সম্পর্কে, যেগুলি অবশ্যই ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

পালং - পালং শাক একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ সুপারফুড। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পালং শাককে পৃথিবীর সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে মনে করেন। পালং শাক থাকে পূর্ণমাত্রায় এনার্জি এবং খুব কম ক্যালোরি। পালং শাককে ভিটামিন এ, কে এবং ফোলেটেরও ভাল উৎস হিসেবে ধরা হয়। আর পালং শাক খুবই সহজলভ্যও। 

রসুন - রসুন খেলে প্রায়শই মানুষের মুখে দুর্গন্ধ হয়। তবে রসুন শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। যেহেতু রসুন ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে, তাই এটি বহু শতাব্দী ধরে রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষাকবচ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

লেবু - লেবু দীর্ঘদিন ধরেই একটি সুপারফুড হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। এই ফলের শুধু প্রদাহরোধী গুণই নয়, ক্যানসার কোষের বিকাশ রোধেরও ক্ষমতা আছে। লেবু লিভার এবং অন্ত্রের জন্যও খুব উপকারী। লেবুজল পান করলে গরমেও দারুণ আরাম পাওয়া যায়।

বিট - অনেকেই এই লাল রঙের সবজিটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেন না। কিন্তু এর উপকারিতা জানার পর আর কখনও এই ভুল করবেন না। বিট শুধু মস্তিষ্কের জন্যই ভাল নয়, এটি রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এটি খেলে ব্যায়ামের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং ডিমেনশিয়া রোগের ঝুঁকিও কমে। এই সবজিতে ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন-সি-এর মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।

ডার্ক চকলেট - ডার্ক চকলেটের উপকারিতা দেখে, এটিকেও বিশ্বের স্বাস্থ্যকর জিনিসগুলির মধ্যে গণনা করা হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে চকলেটে উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ফ্রি র‌্যাডিক্যালের কারণে সৃষ্ট রোগ প্রতিরোধ করে। ডার্ক চকলেট ক্যানসার প্রতিরোধ করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

Advertisement

ডাল - ভারত তথা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে ডাল সবসময়ই খাদ্যের একটি অন্যতম উপাদান। এর উপকারিতা দেখে পশ্চিমী দেশগুলোর মানুষজনও বেশি করে ডাল খাওয়া শুরু করেছেন। মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন থাকে, যা এটিকে সুপারফুড করে তুলেছে। এর পুষ্টিগুণ শুধু হার্টের জন্যই ভাল নয়, এটি ওজন কমাতে, শক্তি বাড়াতে এবং রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতেও বিশেষ কার্যকরী। যদি কেউ নিরামিষ ডায়েটে থাকলেও ডাল খেতে পারেন। 

আখরোট - স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেকোনও শুকনো ফলের চেয়ে আখরোটে বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এতে ভিটামিন-ই, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি পাওয়া যায়। আখরোট ধমনীর অক্সিডেশনের পাশাপাশি প্রদাহও কমায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ অনুযায়ী মানুষের প্রতিদিন অন্তত ৮টি আখরোট খাওয়া উচিত।

সালমন ফিশ - গত কয়েক বছরে অনেকেই সালমন মাছের গুণাগুণ বিবেচনা করে সেটিকে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এই মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি ভাল উৎস, যা ডিপ্রেশানের পাশাপাশি হৃদরোগ এবং ক্যানসারের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ হাই প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, সাইলিয়াম এবং ভিটামিন-বি ১২।

অ্যাভোকাডো - অ্যাভোকাডোকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী খাবারগুলোর মধ্যে একটি গণ্য করা হয়। সপ্তাহে এক বা দুটি অ্যাভোকাডো খেলে শরীর ভাল পরিমাণ মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, পটাসিয়াম, ফোলেট এবং ভিটামিন- কে, সি, বি৫, বি৬ এবং ই পায়। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইবার সমৃদ্ধ অ্যাভোকাডো আমাদের চোখ, বাত এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

রাস্পবেরি - অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, রাস্পবেরি ভিটামিন-সি এবং আয়রনের একটি ভাল উৎস হিসাবে বিবেচিত হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এটি খেলে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। রাস্পবেরি খেলে শরীর তাৎক্ষণিক শক্তি পায়। 

আরও পড়ুনআজ OnePlus 10 Pro-এর সেল শুরু, প্রথমেই বিরাট ডিসকাউন্ট, কোথায় পাবেন?

 

Advertisement