Dooars Jungle Safari: ডুয়ার্সের একাধিক জঙ্গলে পর্যটন মরশুমে অনলাইন টিকিট বুকিং বন্ধ। ফলে সাফারি করতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে একটা বিশাল সংখ্যার পর্যটকদের। স্পটে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকেই বুকিং পাচ্ছেন না। ফলে ক্ষোভ দানা বাঁধছে। বন দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ওয়েবসাইট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অনলাইন বুকিং বন্ধ রয়েছে। কিন্তু তাতে মার খাচ্ছে পর্যটন।
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই পর্যটক উপচে পড়ছে জঙ্গলগুলিতে। একদিকে এলাকার অর্থনীতি যেমন চাঙ্গা হয়ে উঠেছে তেমন হাসি ফুটেছে রিসর্ট, হোটেল, হোমস্টে এবং গাড়ি মালিক ও চালকদের মুখে। তবে পর্যটনের ভরা মরশুমেও তারা সম্পূর্ণ খুশি হতে পারছেন না। পর্যটকদের কিছুটা বিরূপ মনে হবে জন্য। উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ বিভাগের মুখ্য মনোপাল ভাস্কর জেভি জানিয়েছেন সাইট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আপাতত টিকিট দেওয়া বন্ধ রয়েছে তবে দ্রুত বিষয়টি চালু করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
গরুমারা, জলদাপাড়া এবং চিলাপাতা উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের এই তিনটি প্রধান জঙ্গলের কোনওটিতেই মিলছে না জঙ্গল সাফারিতে অনলাইন বুকিং। ফলে যেখানে পর্যটকরা দুদিন তিনদিন থেকে সাফারি করতেন, সেগুলি আপাতত তারা বাতিল করে একদিন-দুদিনেই এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। খুব অল্প সংখ্যক মানুষ লম্বা লাইন দিয়ে বুকিং করতে পারছেন।
চিলাপাতায় আপাতত বুকিং মিললেও ২৭ জানুয়ারি থেকে অনলাইনে আর টিকিট কাটতে পারবেন না। ফলে কেউ নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না, এখানে ঘুরতে এসে সাফার যেতে চান না বলে অনেকেই ট্যুর বাতিল করছেন করে অন্যদিকে চলে যাচ্ছেন।
জঙ্গল সাফারিতে এই জঙ্গলগুলিতে অন্যতম আকর্ষণ জিপে করে জঙ্গলে ঘোরার আনন্দ নিতেই ৩ বছর দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন। ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির তরফে দাবি করা হয়েছে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি, মার্চ এই তিন মাস কমবেশি পর্যটক থাকেই। কিন্তু পর্যটকরা আসেন মূলত জঙ্গল সাফারির টানে। জঙ্গলেই যদি ঠিকমতো ঢুকতে না পারেন, তাহলে জঙ্গলের বাইরে ঘোরাঘুরি করতে আসবেন কেন? অনেক পর্যটকই অনলাইনে বুকিং না পেয়ে বন দফতরের বিভিন্ন অফিসে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু সেখান থেকেও কোন বুকিংয়ের বন্দোবস্ত মিলছে না।