Rahu Mahadasha: জীবনে গ্রহ- নক্ষত্রের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কোনও ব্যক্তির কুষ্ঠিতে গ্রহের অবস্থান শুভ ও অশুভ প্রভাব দেয়। সেখানে যদি গ্রহগুলি খারাপ অবস্থানে থাকে, তবে তার জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শুধু তাই নয়, দূর্বল গ্রহের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তিকে নানা ধরনের রোগ ঘিরে ধরে। এই পরিস্থিতিতে সবার আগে রাশিচক্রে শনি (Shani), রাহু (Rahu) ও কেতুর (Ketu) দশা দেখা যায়। কারণ এই তিনটি গ্রহ এমন, যাদের দশা অশুভ হলে মানুষকে অনেক সংকটে পড়তে হয়।
কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন কুষ্ঠিতে রাহুর মহাদশা চলছে আপনার?
* কথিত আছে রাহু খারাপ হলে অর্থের অপচয় হয় এবং আর্থিক ক্ষতি শুরু হয়। এটি অশুভ রাহুর লক্ষণ বলে মনে করা হয়।
* ছোট ছোট বিষয় খুব রেগে যাওয়া এবং নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারানোও রাহুর অশুভ দশা নির্দেশ করে।
* হাতের নখ নিজে নিজে ভেঙে যাওয়াও খারাপ রাহুর অবস্থা বোঝায়।
* কথিত আছে রাহু খারাপ হলেই বিভ্রান্তির দশা শুরু হয়। সেই ব্যক্তি তার নিজের যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ করতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: রাশি পরিবর্তন করবে রাহু! নতুন বছরে দারুণ সৌভাগ্য এই ৪ রাশির
* শুধু তাই না, রাশিচক্রে রাহুর দুর্বল অবস্থানের কারণে সেই ব্যক্তি অকারণে অন্যকে খারাপ বলতে শুরু করে। অন্যদের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে ক্রমশ।
* একই সঙ্গে অশুভ রাহুর কারণে মস্তিষ্কের রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, গুটিবসন্ত, কুষ্ঠ, ক্যান্সার, বাত, হৃদরোগ, চর্মরোগ, হাড় ভাঙার মতো সমস্যাও দেখা দেয়।
* রাহুর দুর্বলতার কারণে অনেক সময় মানুষ ভূত -অলৌকিক ভয় অনুভব করতে শুরু করে।
* কথিত আছে যে রাহুর অশুভতার কারণে ব্যক্তির স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যায়। খিদে ও তৃষ্ণার সমস্যাও হতে থাকে।
আরও পড়ুন: মঙ্গল ও কেতুর সন্ধি! ৫টি রাশির ধনী হওয়ার যোগ, সাবধান থাকুন বাকিরা
রাহুর দশার প্রতিকার
* একটি ছোট সাদা কাপড়ের মধ্যে কিছু মিশ্রি, অড়হর ডাল, একটি গোমেদ পাথর এবং রুপো রেখে ছোট করে বেঁধে নিন। কাপড়ের টুকরোটি আপনার বাড়ির দরজায় সামনে কোথাও মাটিতে পুঁতে দিন।
* দরিদ্রদের অড়হর ডাল, তিল, নীল রঙের পোশাক, একটি কালো কম্বলও দান করুন।
আরও পড়ুন: কীভাবে তুলসির পুজোয় সংসারে আসবে শুভ ফল? জানুন পাতা ছেঁড়ার বিশেষ মন্ত্র
* রাহু মহাদশার সময় সাপকে কখনই দুধ দেবেন না।
* মনে করা হয়, প্রতিদিন ন্যূনতম ৩২৪ বার রাহু মহামন্ত্র জপ করা এই সময় ভাল ফল দেয়।
* পূর্বপুরুষদের মুক্তো নিবেদন, রাহুর নেতিবাচক প্রভাবকে কমাতে সাহায্য করে।
* পূর্বপুরুষদের নামে আপনার বাড়ির নাম রাখুন এবং নিজের নাম এড়িয়ে চলুন। সর্বদা আপনার বাড়ির পূর্ব দিকে বসুন, খাওয়ার খান এবং পড়াশোনা করুন।