জ্যোতিষশাস্ত্রের জগতে শনিদেব একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রহ, যার প্রভাব বিশেষভাবে বোঝা দরকার। শনিদেব যখন বক্রি (Shani Vakri 2023) হন, তখন তার শুভ ও অশুভ প্রভাবে জীবনেও পরিবর্তন আসতে পারে। কুম্ভ রাশি শনিদেবের অধিপতি। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শনিদেব বক্রি হবেন, যার কারণে কিছু রাশির ভাগ্য পরিবর্তন হবে। শনিদেবের বক্রি হওয়ার কারণে অনেকের জীবনে জটিলতা দেখা দিতে পারে। চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
শনিদেব আগামী ১৭ জুন থেকে ১১ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বক্রি অবস্থায় থাকবেন। অর্থাৎ এই সময়ে কুম্ভ রাশিতে শনিদেব বক্রি যাবেন। শনিদেবের এই বিপরীতমুখী অবস্থান রাশিচক্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শনিদেবের বক্রি কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে, শনিদেবের প্রভাব খুব বেশি এবং তার প্রভাব জীবনকে উল্টে দিতে পারে। এই বক্রিতে দৃশ্যমান গ্রহের প্রভাবের কারণে ভবিষ্যৎ কাজে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে তা সমাধানের জন্য কিছু ব্যবস্থাও রয়েছে। এই প্রতিকারগুলি জাতক জাতিকাদের শনিদেবের বক্রি অবস্থায় সমস্যা এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
এই ৩টি রাশির ভাগ্য খুলবে
শনিদেবের বিপরীতমুখী গতির প্রভাব সব রাশির ওপরেই পড়বে। কিন্তু কিছু রাশির জাতকদের ভাগ্য এই বক্রি অবস্থায় খুলতে পারে। এই তিন রাশির ভাগ্য পরিবর্তন হতে পারে এই সময়ে। সেই রাশিগুলি হল কুম্ভ, মকর এবং ধনু। এই রাশির জাতক জাতিকারা এই বক্রি অবস্থায় সঙ্গীত ও কর্মজীবনে ভাল সাফল্য পেতে পারেন।
উপায়
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শনিদেবের বক্রীর সময় কিছু প্রতিকার রয়েছে, যা সমস্যা থেকে মানুষকে বাঁচাতে সাহায্য করে। শনিদেবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিকার হল তাঁর আরাধনা। শনি পুজোর পাশাপাশি কিছু সাধারণ ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন খুব বেশি গুড় ও মসুর না খাওয়া। সময়মতো ঘুম থেকে ওঠা। পরিশ্রমী হওয়া।
হনুমান চালিসা (Hanuman Chalisa) পাঠও শনিদেবের প্রতিকারের অন্তর্ভুক্ত। হনুমান জিকে প্রসন্ন করতে হবে, যাতে শনিদেবের সমস্যা এড়ানো যায়। এছাড়া মানুষকে সেবা করলে বা সাহায্য করলে শনিদেব আপনার সমস্যা দূর করবেন।
আরও পড়ুন - বাংলা থেকে সংসদে গিয়েছিলেন আম্বেদকর? মুখ্য়মন্ত্রী মমতা যা বললেন...