"আমরা অনেকে জানি না, সংবিধান প্রণেতা বাবাসাহেব আমেবেদকর, যিনি ড্রাফ্টিং কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন, তিনি কোথা থেকে প্রথম পার্লামেন্টে যান, সেটা হচ্ছে পশ্চিমবাংলা। বাংলার এই অ্যাসেম্বলি থেকে", বুধবার বেথুন কলিজিয়েট স্কুলের ১৭৫ বছর উপলক্ষে বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনালগ্নে উপস্থিত থেকে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি বলেন, "মেয়েরা উন্নয়ন না করলে, মেয়েরা শিক্ষিত না হলে, মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার পরিধি ব্যপ্তি না করলে কখনওই কোনও সমাজের ভাল হতে পারে না"। এদিন বারেবারেই নারী শিক্ষায় বেথুন কলিজিয়েট স্কুলের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার হাতে রাজ্য সরকারের বঙ্গরত্ন পুরস্কারও তুলে দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "একদিকে আহরণ, অন্যদিকে উত্তরণ, যে চারাগাছটি জন্মেছিল ১৭৫ বছর আগে, সেটা এখন বটবৃক্ষ, মহিরুহ হয়ে গেছে। যখন স্কলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তখন তো মহিলা শিক্ষার কথা কেউ ভাবতেই পারত না। দেশে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পালিত হচ্ছে, আর আপনারা পালন করছেন ১৭৫ বছর। তারমানে স্বাধীনতা আন্দোলনেও আপনাদের স্থান ছিল। নবজাগরণেও ছিল। মেয়ের শিক্ষা নেবে এটা একটা কুসংস্কারের মতো ছিল। সেটা দূর করে, সামাজিক সচেতনা ও সামাজিকতাকে আহ্বান জানিয়ে, যে মেয়েরা উন্নয়ন না করলে, মেয়েরা শিক্ষিত না হলে, মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার পরিধি ব্যাপ্তি না করলে কখনওই কোনও সমাজের ভাল হতে পারে না। উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট নিয়ে আজকে সবাই আলোচনা করেন, কিনন্তু ১৭৫ বছর আগে আলোচনা করাটা ইটস ম্যাটার। রিয়েলি ইট ইস এক্সিলেন্ট"।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আারও বলেন, "আমি মনে করি নারী জাগরণ না হলে, মেয়েরা এগিয়ে না আসলে, মেয়েরা যদি ঘরের দায়িত্ব নিতে পারে, বাইরের দায়িত্ব কেন নিতে পারে না? একটা মহিলা যেমন সংসার চালায়, তেমনই প্লেনও চালায়, ব্যাঙ্কও চালায়, রেলও চালায়, দেশেও চালায়, বিশ্বও চালায়। সারা পৃথিবীর বুকে লুকিয়ে থাকা আমাদের মলিহাদের কাজকর্মের জন্য আমি গর্ববোধ করি"। এদিন বাংলার বিভিন্ন মনীষীদের কথাও উঠে আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণে। উত্থাপন করেন বিধবা বিবাহ প্রচলন বা সতীদাহ প্রথা রদের মতো প্রসঙ্গও।
আরও পড়ুন - "আমাদের সীমান্ত সুরক্ষা নীতি স্পষ্ট", পেট্রাপোলে সাফ কথা শাহের