মমতা করবেন সূচনা, আমন্ত্রণ জানিয়েও পুজো উদ্বোধন থেকে বাদ বিজেপি বিধায়ক

আলিপুরদুয়ারঃ-বিধানসভা নির্বাচনে জেলার পাঁচটি আসনেই বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হলেও দুর্গা পুজার উদ্বোধন থেকে সম্পূর্ণ ব্রাত্য বিজেপির পাঁচ বিধায়ক সহ একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। 

জেলার কোনও পুজো কমিটির তরফেই বিজেপির পাঁচ বিধায়ক এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলাকে পুজো উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

বরং বিধানসভা নির্বাচনের তৃণমূলের পরাজিত  প্রার্থীদের ডাকা হয়েছে বেশ কিছু পুজা উদ্বোধন করতে। এ ছাড়াও জেলার সমস্ত বিগ বাজেটের পুজোগুলোর উদ্বোধনে তৃণমূল নেতাদের দাপট লক্ষ্য করা গিয়েছে।

বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলা শহরের পুরসভা এলাকার ২০টি ওয়ার্ডেই বিরাট ব্যবধানে লিড পায় বিজেপি প্রার্থী সুমন কাঞ্জিলাল। তবু্ও জেলা শহরের কোনও একটি পুজো কমিটিও পুজো উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানায়নি আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ককে।

অন্যদিকে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক তথা মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকে মাদারিহাটের চার নম্বর কলোনির দুর্গাপুজো উদ্বোধনে পুজো কমিটির তরফে প্রথমে আমন্ত্রণ জানানো হলেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে পুজো উদ্বোধনে মনোজ টিগ্গার নাম বাদ দেয় সেই পুজো কমিটি।

বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গার বদলে পঞ্চমির সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সেই পুজো উদ্বোধন করবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

অন্যদিকে ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মনকেও ফালাকাটার কোনও পুজো কমিটি তাদের পুজো উদ্বোধন করতে ডাকেনি।

পাশাপাশি কালচিনি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক বিশাল লামাকেও পুজো উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানায়নি পুজো কমিটিগুলো।

তবে বিধানসভা নির্বাচনে কালচিনির কেন্দ্রের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী পাসাং লামাকে অগণিত পুজো উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে পুজো কমিটিগুলো।

আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল এ প্রসঙ্গে বলেন উৎসব সবার। তাই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবো না। তবে আমি যেহেতু বিধায়ক তাই সমস্ত পুজো মন্ডপেই আমি যাব। তবে অনেক পুজো কমিটি তাদের পুজো উদ্বোধনে ডাকতে না পেরে তাদের দুঃখ প্রকাশ করেছে।

রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন পুজো উদ্বোধনের প্রতিযোগিতায় আমি নেই। আমরা মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। তাই মানুষের কাছে যাওয়া আমাদের কর্তব্য।

আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, মানুষ ভোট দিয়ে এখন ভুগছে। তাই এখন মানুষ ওঁদের দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। ওঁদের সাথে মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এ ঘটনা তারই প্রমাণ।