শেষ দু'বছরে করোনা পরিস্থিতি মানুষকে অনেক শিক্ষা দিয়েছে। বদলে গিয়েছে জীবন। মানুষ এখন নিউ নরম্যাল-এ অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। তাই নিউ নরম্যালের পুজোর থিমেও তারই ছোঁয়া।
এই পরিস্থিতে অতিমারিতে মা এবার স্বয়ং চিকিৎসক। মা উমা করোনা যোদ্ধা হিসাবে মানুষর সামনে আসছেন। এ বছরে এটাই থিম মালদার অভিযাত্রী সংঘের। যা ঘিরে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে।
করোনা অতিমারীর মর্তে অসুর যখন করোনা। মা দুর্গা তখন চিকিৎসক। করোনা বধ করতে তাই এবার মর্ত্যে আসছেন চিকিৎসক রূপে স্বয়ং মা দুর্গা।
মায়ের গলায় থাকবে স্টেথোস্কোপ। দশ হাতে করোনা বধ করার অস্ত্র। মাস্ক, স্যানিটাইজার, ওষুধ, ভ্যাকসিন। সেই সঙ্গে কোভিডের চিকিৎসা সংক্রান্ত অন্যান্য সরঞ্জাম।
শুধু তা-ই নয়, চিকিৎসকের সাদা পোশাকেই মায়ের সঙ্গে মর্ত্য়ে আসতে চলেছেন মায়ের ছেলেমেয়ে সরস্বতী, লক্ষ্মী, গণেশ আর কার্তিকও। শুরু হয়েছে তারই প্রস্তুতি।
এমনই অভিনব থিম দর্শনার্থীদের উপহার দিয়ে নজর কাড়তে তৈরি হচ্ছে মালদা শহরের সুকান্ত মোড়ের অভিযাত্রী সংঘ। যে ভাবে গত দুবছরে করোনায় নাজেহাল মানুষ।
সে সময় করোনা আক্রান্তদের ভরসা চিকিৎসকেরা। আর সেই দিকে নজর রেখে করোনাকালে চিকিৎসকরাই অন্যতম যোদ্ধা। করোনা আক্রান্তদের প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরাও।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা প্রথম সারিতে। করোনা আক্রান্তদের প্রাণ বাঁচিয়েছেন তাঁরা। এখনও তাঁদের লড়াই চলছে। ইংরেজবাজারের অভিযাত্রী সংঘ তাঁদের ৬১তম বর্ষের পুজোয় এই থিমকেই মণ্ডপে ফুটিয়ে তুলছেন।
করোনা পর্বের বহু দৃশ্য তুলে ধরে তাক লাগাতে চাইছেন উদ্যোক্তারা। লকডাউনের শুনশান পরিবেশ, মানুষের মুখে মাস্ক, সবকিছুই থাকবে। লকডাউনের প্রতীক হিসাবে মণ্ডপে থাকবে বড় তালা ও চাবি।
অভিযাত্রী সংঘের সদস্য সুমিত পাল বলেন, করোনায় জেরবার রাজ্য থেকে জলা। ফলে আমরা করোনায় যে চিকিৎসকেরা প্রথম সারিতে ছিলেন মা দুর্গার মধ্যে সেই থিম তুলে ধরা হবে। করোনা কালে সেই সব কিছু থাকবে পুজো মন্ডপে। দেবী দুর্গাকে চিকিৎসক রূপে তুলে ধরা হবে।