সোদপুর স্টেশনের পশ্চিম দিকে ১৭ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত খাদি প্রতিষ্ঠান। সোদপুর খাদি আশ্রমকে গান্ধীজি তাঁর 'দ্বিতীয় বাড়ি' বলেছিলেন।তিনি যখন কলকাতায় আসতেন তখন এখানেই থাকতেন। মোট আটবার এখানে তিনি আসেন। (ছবি সৌজন্য: শুভঙ্কর বন্দোপাধ্যায়)
খাদি প্রতিষ্ঠান প্রধানত যিনি তৈরি করেছিলেন তিনি হলেন ড. সতীশ চন্দ্র দাশগুপ্ত। তিনি পেশায় ছিলেন বেঙ্গল কেমিক্যালের রসায়নবিদ। ১৯২৪ সালে তিনি সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে পাবলিক চ্যারিটেবেল ট্রাস্ট হিসেবে খাদি প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। তাঁর এই কাজে আচার্য্য প্রফুল চন্দ্র রায় অগ্রণী ভূমিকা নেন। তিনি ছিলেন এই ট্রাস্টের প্রথম সভাপতি। সতীশ চন্দ্র দাশগুপ্ত ছিলেন সম্পাদক।
১৯২৬ সালে তৎকালীন ৩০ হাজার টাকায় এই জমিটি সংগ্রহ করেছিলেন। এরপর ৪০ হাজার টাকা খরচ করে কলা শালা তৈরি হয়েছিল।
পণ্ডিত মতিলাল নেহেরু, কংগ্রেস সভাপতি স্যর পি সি সি রায় এবং অন্যান্যদের উপস্থিতিতে ২২ শে জানুয়ারী, ১৯২৭ সালে সোদপুর রেল স্টেশনের নিকটে সোদপুর খাদি আশ্রমে মহাত্মা গান্ধী এই আশ্রমের উদ্বোধন করেছিলেন।
গান্ধীজি দাঙ্গা আক্রান্ত বেলিয়াঘাটায় যাওয়ার আগে ৯ই আগস্ট ১৯৪৭ থেকে ১৩ ই আগস্ট ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত স্বাধীনতার গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলি সোদপুরে ছিলেন।
সুভাষ চন্দ্র বোস, পণ্ডিত জওহর লাল নেহরু, সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল, শরৎচন্দ্র বসু, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, জিডি বিড়লা, জামানলাল বাজাজ, খান আবদুল গফফর খান, সরোজিনী নাইডু, শুরাবর্দী, ডাঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ, বিধান চন্দ্র রায়, পিসি ঘোষ প্রমুখ এই খাদি প্রতিষ্ঠানে আসেন।
আজ,২ রা অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর ১৫২-তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ফুলের মালায় সাজানো হয়েছে খাদি প্রতিষ্ঠান। অনুষ্ঠিত হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রত্যেক বছর এই দিনটিতে খাদি প্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক সভার আয়োজন করা হয়। স্বাধীনতা দিবসের দিন হয় পতাকা উত্তোলন।