মঙ্গলগ্রহের রং কী? লাল। কারণ মঙ্গলের ভুপৃষ্ঠে লাল পাথরের আধিক্য। কিন্তু মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার (NASA) পাঠানো রোবটযান (Perseverance Rover) বেগুনি রঙের পাথরের সন্ধান পেয়েছে। আসলে লাল পথরের উপরেই পড়েছে বেগুনি আস্তরণ। অবাক করার মতো ব্যাপার বেগুনি রঙের পাথর পাওয়া গিয়েছে জেজেরো ক্রেটারে পাওয়া গিয়েছে। ছোট কাঁকড়া থেকে বিশাল আকারের পাথর মিলেছে সেখানে। (ছবি: নাসা)
রহস্যময় বেগুনি পাথর কীভাবে এল তা এখনও অনুসন্ধান করতে পারেননি নাসার বিজ্ঞানীরা। কীভাবেই বা লাল রঙের উপরে বেগুনি পরত পড়ল তা-ও অজানা। স্বয়ংক্রিয় যানের তথ্য বিশ্লেষণ করে ন্যাটজিও-কে গবেষক গার্সিজিঙ্কস্কি বলেছেন, এখনও পর্যন্ত এব্যাপারে আমাদের কাছে সম্পূর্ণ তথ্য নেই। (ছবি: নাসা)
কয়েকটি পাথরে হালকা আবার কয়েকটায় পুরু আস্তরণ রয়েছে। মনে হচ্ছে কেউ বা কারা রং করে দিয়েছে। পাথরগুলি বিশ্লেষণ করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। রাসায়নিক তদন্তের পরই বলা সম্ভব বেগুনি আস্তরণ কোথা থেকে এল। (ছবি: নাসা)
বেগুনি রঙের পাথর বিস্ময়কর এমনটা নয়। এর আগে সবুজ রঙের পাথরও দেখা গিয়েছে মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠে। ২০১৬ সালে কিউরিয়োসিটি রোভার ২০১৬ সালে মাউন্ট শার্পে কাছে খুঁজে পেয়েছিল। মঙ্গলের নানা দিকে নানা রঙের পাথর মিলেছে। বেগুনি ছোট ছোট কাঁকড়ও পাওয়া গিয়েছিল। মনে করা হয়েছিল, সেগুলি একপ্রকারের লৌহ আকরিক। (ছবি: নাসা)
মঙ্গলে হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে পাথরগুলি নিয়ে বিশ্লেষণ করা সহজ। কারণ সেগুলির উপরে কোনও ধুলো পড়ে না। কিন্তু জেজেরো ক্রেটারে পাথরের বিশ্লেষণ করা কঠিন কাজ। (ছবি: নাসা)
রোবটযানের মাস্টক্যাম-জেড ক্যামেরা ও আই ক্যামে আসা ছবি বিশ্লেষণ করেছেন ব্র্যাডলি গার্সিজিঙ্কস্কি। তিনি অবশ্য ন্য়াট জিও-কে জানিয়েছেন, এর আগে কখনও বেগুনি রঙের পাথর দেখেননি। (ছবি: নাসা)
রোবটযানের সুপারক্যামেরার লেজার দিয়ে পাথরের উপরে থাকা আস্তরণকে গলাতে চাইছে গবেষক দল। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বেগুনি আস্তরণ নরম। এবং পাথরের ভিতরের ও বাইরের পরত রাসায়নিকভাবে আলাদা। হতে পারে, এটি হাইড্রোজেন ও ম্যাগনেশিয়ামের মিশ্রণে তৈরি। (ছবি: নাসা)
বিজ্ঞানীদের অভিমত, হাইড্রোজনের ও লৌহ দিয়ে এই বেগুনি আস্তরণ সৃষ্টি। অর্থাৎ জলের ভূমিকা রয়েছে। এই জায়গায় একটি উল্কাপিণ্ড এসে পড়েছিল বলে জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। মনে করা হচ্ছে, এখানে তখন জলে ভরা একটি দীঘি ছিল। (ছবি: নাসা)
আর একটি তত্ত্ব বলছে, বেগুনি রঙের পাথর ওই দীঘিতে ছিল না। বরং গরম ম্যাগমা ঠান্ডা হওয়ার পর এই আকার নিয়েছে। কিন্তু ক্রেটারে পথর এল কীভাবে? জলে প্লাবিত হয়ে? এটাও একটা বড় প্রশ্ন। (ছবি: নাসা)