রঙেই খোলে সৌন্দর্য। উপরে যে মাছের ছবি দেখছেন, এটিই দুনিয়ার সবচেয়ে রঙিন মাছ হিসেবে খ্যাত। এই মাছের শরীরে প্রায় সব রংই উপস্থিত। খোঁজ মিলেছিল মলদ্বীপের সমুদ্রে। এই মাছের ঠিক কোন প্রজাতির তা নিয়ে শুরুতে ধন্দে ছিলেন বিজ্ঞানীরা। হালে জানা গিয়েছে, এটি সম্পূর্ণ আলাদা প্রজাতির মাছ। সমুদ্রের তলায় প্রবালের মধ্যে থাকে এটি। এই প্রবাল ঘরকে টয়লাইট রিফসও (Twilight Reefs) বলা হয়। (ছবি- JE Randall/ZooKeys)
এই রঙিন জীবকে রামধনু মাছ নামে ডাকা হয়। নাম দেওয়া হয়েছে রোজ ভিল্ড ফেয়ারি রাসে (Rose-veiled fairy wrasse)। এর প্রজাতির নাম সিরহিলাব্রস ফিনিফেন্মা (Cirrhilabrus finifenmaa)। সিরহিলাব্রস রুবিসকামিসের (Cirrhilabrus rubrisquamis) আত্মীয় বলে মনে করা হয়েছিল এই মাছকে। তবে বিজ্ঞানী জানাচ্ছেন, এটা সম্পূর্ণ আলাদা প্রজাতি। (ছবি- JE Randall/ZooKeys)
ন্যাশনাল ওশিয়ানক অ্যান্ড অ্যাটমস্ফিয়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NOAA) জানিয়েছে, ভারত মহাসাগরের পূর্ব পশ্চিমে পাওয়া যায় এই রামধনু মাছ। প্রবালের মাঝে থাকে এই মাছ। যা ১০০ থেকে ৪৯০ ফুট সমুদ্রের গভীরে মেলে। ১৯৯০ সালে এই মাছের প্রথম খোঁজ মেলে। তখন এটিকে ভেলভেট ফেয়ারি বলে মনে করা হচ্ছিল। (ছবি- JE Randall/ZooKeys)
অতিসম্প্রতি বিজ্ঞানীরা ভুল বুঝতে পারেন। তাঁরা বোঝেন, এই মাছ সম্পূর্ণ আলাদা প্রজাতির। মহিলা ফেয়ারি রেসে-তে লাল, গোলাপি ও নীল রং বেশি। যা ভেলভেট ফেয়ারির মতোই। পুরুষ মাছের মধ্যে হলুদ রং দেখা গিয়েছে। (ছবি- JE Randall/ZooKeys)
রামধনু মাছের লেজ অনেকটা লম্বা। রেড ভেলভেট ফেয়ারি মাছের সঙ্গে ডিএনএ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। জানা যায়, এটা আলাদা প্রজাতির। রামধুন মাছের বিচরণক্ষেত্র অনেক সীমিত। রেড ভেলভেটের মতো নয়। (ছবি- JE Randall/ZooKeys)
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, এই মাছের প্রজাতি একেবারে আলাদা। এদের সংরক্ষণ করার জন্য পদক্ষেপ করা উচিত। রঙিন মাছের ৮টি আলাদা প্রজাতির খোঁজ মিলেছে। রঙিন মাছকে মলদ্বীপের স্থানীয় ভাষায় গোলাপ বলা হয়।