শিলিগুড়ির হায়দরপাড়া স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে পুরনো ম্যানুয়াল বাদ্যযন্ত্র দিয়ে। হারিয়ে যাওয়া বা কম ব্যবহৃত ওই সমস্ত বাদ্যযন্ত্র দিয়ে পুজো মণ্ডপ থেকে রং ঠিকরে পড়ছে। তালিকায় রাখতেই হবে এই পুজোটি। নজরুল সরণি ধরে সোজা বিধান রোড থেকে এই পুজো নজর কাড়বে।
হিলকার্ট রোড লাগোয়া ডাঙ্গিপাড়ার স্বস্তিকা যুবক সংঘের এবারের থিম বিশ্বাসের বিস্ময়। করোনা অতিমারিতে বহু প্রাণ-কর্ম হানি হয়েছে। তবু মানুষের ভগবানের প্রতি বিশ্বাস অটুট। তা বিস্ময়ের। এমনই থিমকে ধরে পুজো করেছেন তাঁরা। হাসমিচক লাগোয়া গলি ধরে সোজা এই ক্লাবের পুজো মণ্ডপে পৌঁছে যাওয়া যাবে।
শিলিগুড়ির চম্পাসারির জাতীয় শক্তি সংঘ ও পাঠাগারের উত্তর মাল্লাগুড়ি সার্বজনীন দুর্গোৎসব বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ৪৯তম বর্ষে তাদের পুজোর থিম ইন্দ্রলোক। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির লড়াই। প্রধাননগরেরর নিবেদিতা রোড থেকে সোজা শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির স্কুলের মাঠে পুজো।
কলেজপাড়া পুজা কমিটির এবার ৭১তম বর্ষ। থিম-ত্রিলোচন। মানে তৃতীয় নয়ন। দেবীর তৃতীয় নয়ন দিয়ে অশুভ শক্তির বিনাশ হোক। সেই কামনা করে যথোচিত থিম তৈরি করা হয়েছে। শিলিগুড়ি কলেজের ঠিক পাশেই চিলড্রেন পার্ক সহজ গন্তব্য।
রবীন্দ্র সংঘ পুজো কমিটি রবীন্দ্রনগরের মূল ক্লাব প্রাঙ্গণেই হয়। ৬৯ তম বর্ষে তাদের থিম পরিকাঠামো। মানবজীবনের জৌলুসহীন জীবনযাত্রাকে তুলে ধরা হয়েছে এই থিমের মাধ্যমে। সুভাষপল্লির হাতিমোড় থেকে রবীন্দ্রনগর মোড় থেকে হাঁটা পথে ২ মিনিট।
দাদাভাই স্পোর্টিং ক্লাব গত কয়েক দশকে অন্যতম সেরা পুজো। এই অতিমারিতেও তাঁরা তাঁদের জৌলুস ধরে রেখেছেন। দেশবন্ধুপাড়ার এই ক্লাবটির পুজো এবার ৪০ তম বর্ষে পা রাখল। এ বছর তাদের থিম "অসময়ের দুর্গাপুজো"। এই থিমে একটি চেয়ারে চারটি পা-এর মাধ্যমে মানব জীবনের চারটি অধ্যায়টি তুলে ধরা হয়েছে। হিলকার্ট রোড থেকে ফ্লাইওভার হয়ে এনজেপিগামী রাস্তায় দাদাভাই মোড় একটি পরিচিত ডেস্টিনেশন।
শিলিগুড়ি সংঘশ্রীও গত কয়েক দশক থেকে স্বল্প পরিসরে দুর্দান্ত পুজো উপহার দিয়ে আসছেন। শিলিগুড়ির সেরা পুজো তালিকায় থাকা সংঘশ্রী পুজোর ৫৫ তম বর্ষে এবারের থিম 'ঘটে পটে'। দর্শকদের নজর কাড়তে এবারের পুজো মন্ডপে তুলে ধরা হচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পট শিল্পকে।