Advertisement
স্পেশাল

সাপ ধরার নেশায় রেলের চাকরি ছেড়ে আলিপুরদুয়ারে বিখ্যাত 'Snake Man'

  • 1/13

সাপ ধরার নেশায় সুনিশ্চিত রেলের চাকরি ছেড়ে দিয়ে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের পূর্ব কাঁঠালবাড়ির বছর চল্লিশের যুবক দীপক বিশ্বশর্মা আজ স্নেকম্যান হিসেবে পরিচিত।
 

  • 2/13

সাপ ধরে নিরাপদে জঙলে ছেড়ে দেবার দৌলতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষের তরফে দীপককে পুরস্কৃত করা হয়েছে। যদিও পুরস্কারের জন্য নয়, ভালবাসা থেকেই সাপ ধরেন তিনি।

  • 3/13

শৈশব থেকেই জঙলের পরিবেশে বড় হয়ে ওঠা দীপকের সাপ ধরার প্রতি প্রবল আগ্রহ। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মতো গভীর জঙল অজগর এবং অন্যান্য বিষাক্ত সর্পকুলের আদর্শ বাসস্থান।

Advertisement
  • 4/13

মুঠো ফোনের দৌলতে বর্তমানে মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে। বাড়িতে সাপ ঢুকলে মানুষ এখন সেই প্রাণীদের নির্বিচারে হত্যা করে না। বরং, বনদপ্তর এবং বিভিন্ন সর্পপ্রেমী সংগঠনের সদস্যদের ডেকে সেই সাপ উদ্ধার করে।

  • 5/13

তবে আজ থেকে ২০ বছর আগের চিত্রটা বর্তমান সময়ের মতো ছিল না। তখন সাপ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ছিল মানুষের মনে। আর সেই ভ্রান্ত ধারণার বশেই মানুষ সাপ দেখলেই তা মেরে ফেলতে দ্বিধা করতো না।

  • 6/13

সেই সময় এমন বেশ কিছু সাপকে নির্বিচারে হত্যা হতে দেখে কেঁদে ওঠে দীপকের হৃদয়। সাপ ধরে জঙ্গলে নিরাপদে ছেড়ে দিতে প্রতিজ্ঞা  করে দীপক বিশ্বশর্মা। সেই থেকে আজও নিরলস সাপ ধরে চলছে সর্পপ্রেমী এই যুবক।

  • 7/13

শুধু মাত্র কৌশল আর অভিজ্ঞতার উপর ভরসা করেই খালি হাতে দীপক অনায়াসে ধরে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিষধর সাপ কিংকোবরা, কালাচ, কেউটে, গোখরো,শাঁখামুটি সাপেদের।

Advertisement
  • 8/13

এছাড়াও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বিক্ষাত মস্ত আজগর সাপ ধরতে সিদ্ধহস্ত দীপক। সাপেদের সাথে দীপকের এক অদ্ভুত বন্ধুত্ব।

  • 9/13

যত বিষাক্ত সাপই হোকনা কেন, দীপকের হাতের এক ছোঁয়াতেই বিষধর সাপ যেন ভেজা বেড়ালে পরিণত হয়ে যায়। সহজেই দীপকের বশ্যতা স্বীকার করে বিষাক্ত সর্পকুল এবং প্রকান্ড সব অজগর সাপেরা।

  • 10/13

দীপকের গত ২০ বছরের সাপ ধরার ইতিহাসে একটি বারের জন্য কোনও সাপই দীপকের ক্ষতি করেনি। আজ পর্যন্ত কোনও বিষধর সাপের ছোবল খায়নি দীপক।

  • 11/13

জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বনবস্তি থেকে শুরু করে চা বাগান, কিংবা বসতি এলাকায় রাত বিরেতে কারও বাড়িতে সাপ ঢুকলেই জলদাপাড়া বনদপ্তর নয়, সবার আগে ডাক পড়ে দীপকের। আর দীপকের সাপ ধরার কেরামতি দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা।

Advertisement
  • 12/13

দীপক বিশ্বশর্মা বলেন, আমার জীবনে এখনও পর্যন্ত প্রায় দুশোর মতো প্রকান্ড সব অজগর সাপ এবং অগণিত বিষধর সাপ ধরে জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছি। আমরা বনাঞ্চলের মানুষ তাই বনের পশু, পাখি সরীসৃপদের সাথে সহবাস করি। ওদের কেউ নির্বিচারে হত্যা করুক তা আমি চাই না।

 

  • 13/13

আমি রেলের চাকরিতে ঢুকে পড়লে এই বন্যপ্রাণীগুলো বাঁচাতে পারতাম কি না জানি না। তবে এটা ভেবে আনন্দ পাই মানুষ এখন অনেক সচেতন।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের তরফ থেকে সম্প্রতি আমাকে পুরস্কৃত করেছে। আমি বনদপ্তরের কাছে কৃতজ্ঞ।

Advertisement