নতুন বছরেও প্রকৃতি ওলটপালট। আফ্রিকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক মরুভূমিতে বেনজির তুষারপাত শুরু হল হঠাৎই। জানুয়ারি মাস থেকে তাপমাত্রা কমলেও এমন দৃশ্য চট করে দেখা যায় না৷ আফ্রিকার সাহারা কিংবা সৌদি আরবের বিস্তীর্ণ মরু প্রান্তর, হলুদ বালি ঢাকল সাদা বরফের চাদরে৷
পৃথিবীর বৃহত্তম মরুভূমি সাহারার বালির স্তুপ পরিণত হয়েছে বরফের টিলায়। সেই সব দৃশ্য দেখতে ইতিমধ্যেই সেখানে ভিড় জমিয়ে উৎসুক পর্যটক এবং স্থানীয়রা।
সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় এই তুষারপাত ও বরফের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বালির শহরগুলিতে জমিয়ে কনকনে ঠান্ডা পড়লেও তুষারপাত সচরাচর দেখা যায় না।
সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ১০০০ মিটার উঁচু এইন সেফরাকে বলা হয় সাহারার প্রবেশপথ। অ্যাটলাস পর্বতশ্রেণী দিয়ে ঘেরা এই এলাকাটিতে আর্দ্রতার হারই বেশি থাকে। কিন্তু গত কয়েক দশক ধরেই বিরাট পরিবর্তন এসেছে এখানকার আবহাওয়ায়।
এই এইন সেফ্রা এখন বালিয়ারিতে পরিণত হলেও ১৫ হাজার বছর আগে এটি ছিল অন্যতম সবুজ প্রান্তর। এবার এই এলাকা ঢেকেছে বরফের চাদরে। একদিকে অ্যাটলাস পর্বতের বরফ অন্যদিকে এইন সেফ্রার তুষার, নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে উপচে পড়ছে ভিড়৷
সম্প্রতি যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে গত ৫০ বছরে এই প্রথম বার এতটা পারদ পতন হয়েছে এই এলাকায়। মাইনাস ২ ডিগ্রিতে নেমেছে তাপমাত্রা। 'মরুভূমির জাহাজ' উট এখন 'বরফ সওয়ারি', হয়েছে সেই সব ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
উষ্ণতম মরুভূমি ঠান্ডায় শীতলতর হয়, কিন্তু তাই বলে শীতলতম? এ ঘটনা এই প্রথম। ঘুম ভেঙে চোখ খুলতেই যেন ম্যাজিক। হলুদ বালি তখন সাদা প্রান্তর।
যদিও সাহারাতে এই ঘটনা ঠিক নতুন নয়। এই নিয়ে তৃতীয়বার এমন বরফ পড়ার সাক্ষী হল সে। ২০১৮ তে একবার বরফ পড়েছিল এখানে। তবে এবারের মত নয়।
১৯৮০ সালে প্রথম পৃথিবীর বৃহত্তম মরুভূমিতে বরফ পড়ার ঘটনা ঘটে। শীতকালে এখানকার তাপমাত্রা থাকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। গরমে পারদ বেড়ে হয় ৫০ ডিগ্রি।