সাইবেরিয়াকে বিশ্বের অন্যতম শীতল স্থান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বের শীতলতম স্কুলও চলে সেখানে। তাপমাত্রা প্রায়শই -৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে। চরম ঠান্ডা থাকা সত্ত্বেও ছোট বাচ্চারা এই স্কুলেই পড়াশোনা করতে পৌঁছয়। তবে তাপমাত্রা আরও কম হলে বন্ধ হয়ে যায় স্কুলটি।
এই স্কুলটি ওমায়াকন শহরে অবস্থিত। স্কুল ছাড়াও পোস্ট অফিস এবং ব্যাঙ্কের মতো কিছু প্রাথমিক সুবিধাও রয়েছে। করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি রয়েছে তবে তাপমাত্রা চেক করেই তবে স্কুলে প্রবেশ করানো হচ্ছে পড়ুয়াদের।
১৯৩২ সালে স্ট্যালিনের সময় এই স্কুলটি তৈরি হয়। স্থানীয় ফটোগ্রাফার সেমিয়ন সাইবেরিয়ান টাইমসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান ৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে শুটিং করছিলাম। তখন এখানকার তাপমাত্রা মাইনাস ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
তবে অসুবিধা হলেও গ্লাভস পরেই ছবি তোলেন ফটোগ্রাফার। তিনি জানান যে যদি গ্লাভস না পরতেন তবে ওই ঠান্ডায় আঙুল জমে যেত।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, হাইপোথার্মিয়ার ঝুঁকিও থাকে এই তাপমাত্রায়। -৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পায় হাইপোথার্মিয়া। এমন একটি অবস্থা যা শরীরের তাপমাত্রা খুব দ্রুত কমতে শুরু করে। যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ, দ্রুত হার্টবিট, নার্ভাসনেস এবং কিছু ক্ষেত্রে হতে পারে মৃত্যু।