scorecardresearch
 

দিল্লি বিধানসভার নীচে মিলল গোপন সুড়ঙ্গ, কারা খুঁড়ল ওই টানেল !

দিল্লি বিধানসভার একটি পুরনো বন্ধ খুলতেই মিলল গোপন সুড়ঙ্গ। সেটি নাকি যুক্ত রয়েছে লালকেল্লার সঙ্গে। চমকে গেল গোটা রাজধানী।

Advertisement
দিল্লি বিধানসভা দিল্লি বিধানসভা
হাইলাইটস
  • দিল

দিল্লি (Delhi)বিধানসভার একটি পুরনো ঘর খুলতেই বেড়িয়ে এল প্রায় একশো বছরের বেশি আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল(Under Ground Tunnel) বা সুড়ঙ্গ। এই সুড়ঙ্গটি দিল্লী বিধানসভা(Asembly) থেকে লালকেল্লা(Red Fort) পর্যন্ত যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে বিভিন্ন কারণে নীচের রাস্তাটি নষ্ট হয়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পর্যটকদের জন্য তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

শুক্রবার মিলেছে গোপন সুড়ঙ্গ

শুক্রবার দিল্লি বিধানসভার মাটির নিচে মিলল সুড়ঙ্গ। দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ রাম নিবাস জানিয়েছেন, এই সুড়ঙ্গ বিধানসভা থেকে লালকেল্লা পর্যন্ত যুক্ত রয়েছে।

টানেল

ইতিহাসের সঙ্গে মিথ জড়িত

স্বাধীনতা সংগ্রামীদের লড়াইয়ের সময় ইংরেজদের হাতে গ্রেফতার হওয়া বা আটক হওয়ার থেকে বাচতে এই গুপ্তপথ ব্যবহার করা হতো বলে মনে করা হচ্ছে। স্পিকার রাম নিবাস বলেন, যখন ১৯৯৩ সালে প্রথম বিধায়ক হই, তখনই বিধানসভায় একটি সুড়ঙ্গ আছে বলে একটি গুজব শুনেছিলাম। তারপর আমি ইতিহাসের খোঁজ করার চেষ্টা করি। কিন্তু সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট নথি পাইনি।

সুড়ঙ্গের মুখ পাওয়া গিয়েছে

স্পিকার বলেন এখন আমরা সুড়ঙ্গের মুখ পেয়ে গিয়েছে। তবে এখনই আমরা এটাকে খুঁড়ছি না। কারণ মেট্রোর পরিচয় জানার কারণে এই সুড়ঙ্গের সমস্ত রাস্তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্পিকার আরও বলেন, যে ভবনে এখন দিল্লি বিধানসভা রয়েছে, তার ১৯১২ সালে দেশের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লী স্থানান্তরিত করার পর কেন্দ্রীয় বিধানসভার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে ১৯২৬ সালে এটিকে আদালতে বদলে দেওয়া হয়।

সুড়ঙ্গ

স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আনতে ব্যবহার হত এই সুড়ঙ্গ

Advertisement

ইংরেজরা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এই আদালতে নিয়ে আসতেই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করত বলে জানা গিয়েছে স্পিকার রাম নিবাস গোয়েল জানিয়েছেন, এখানে ফাঁসি দেওয়া হতো বলে একটি ঘর রয়েছে, সে বিষয়ে জানতাম। কিন্তু এটাকে কখনও খুলে দেখা হয়নি। এখন স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর আমি ওই কামরা দেখার জন্য খোলার চেষ্টা করি। তারপরই এটি সামনে আসে।

পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার ভাবনা

আমরা ঐ ঘর থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মন্দির হিসেবে পরিণত করতে চাই। যাতে তাঁদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া সম্ভব হয়। বিধানসভার অধ্যক্ষ রাম নিবাস লাগাতার জানান, স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত দিল্লি বিধানসভার ইতিহাস দেখে তিনি চমৎকৃত। আগামী স্বাধীনতা দিবসের আগে পর্যটকদের জন্য এটি খুলে দেওয়া যায় কিনা তার চেষ্টা করা শুরু হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের সম্বন্ধে এই জায়গার অত্যন্ত সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। আমরা এটিকে পুনর্নির্মাণ করে পর্যটক এবং আগন্তুকদের জন্য আমাদের ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে চাই।

 

Advertisement