scorecardresearch
 

Best Dhabas In Kolkata: তন্দুরি রোটি-তড়কার উমদা খুশবু, কলকাতার বেস্ট ধাবাগুলিতে ঢুঁ মেরেছেন?

ধাবা (Dhaba) পাঞ্জাবি শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ রাস্তার ধারে ভোজন। ধাবা এমন একটি খাওয়ার জায়গা, যেখানে আপনি খাটিয়ায় বসে অথবা চেয়ার টেবিলে বসে খেতে পারবেন নানা লোভনীয় খাবার। রুটি আর তড়কা হল যে কোনও ধাবার মেন খাবার আইটেম।

Advertisement
কলকাতার সেরা ধাবা কলকাতার সেরা ধাবা
হাইলাইটস
  • ধাবা (Dhaba) পাঞ্জাবি শব্দ থেকে এসেছে
  • যার অর্থ রাস্তার ধারে ভোজন
  • রুটি আর তড়কা হল যে কোনও ধাবার মেন খাবার আইটেম

কলকাতা ভোজন রসিকদের জন্য স্বর্গরাজ্য। কারণ আপনি এখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার পেয়ে যাবে। একেবারে সস্তা থেকে দামি, সবই মেলে এই শহরে। বাঙালির প্রিয় মাছের ঝোল থেকে শুরু করে নিউ মার্কেটের আইকনিক ইহুদি বেকারি, কাঠি রোল এবং খাঁটি চাইনিজ খাবার, সবই আছে। কিন্তু আজ আমরা কলকাতার সেরা ধাবাগুলি (Best Dhabas In Kolkata) সম্পর্কে আপনাদের জানাব। যেখানে আপনি খাঁটি উত্তর ভারতীয় খাবারের পেয়ে যাবেন। ধাবা হল রোডসাইড রেস্তরাঁ।

ধাবা (Dhaba) পাঞ্জাবি শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ রাস্তার ধারে ভোজন। ধাবা এমন একটি খাওয়ার জায়গা, যেখানে আপনি খাটিয়ায় বসে অথবা চেয়ার টেবিলে বসে খেতে পারবেন নানা লোভনীয় খাবার। রুটি আর তড়কা হল যে কোনও ধাবার মেন খাবার আইটেম।

আরও পড়ুন: Street Food Of Kolkata: বড় রেস্তরাঁকে ১০ গোল দেয়, কলকাতার সেরা স্ট্রিট ফুডের ঠিকানাগুলি রইল

বলবন্ত সিং ধাবা (Balwant Singh's Dhaba): কলকাতাবাসীর অন্যতম পছন্দের খাওয়ার জায়গা হল ভবানীপুরের বলবন্ত সিংহ ধাবা। এখানকার বিখ্যাত ক্লাব কচুরি (Club kochuri) এবং কেশর চা খাওয়ার জন্য ভোর ৫টা থেকে লাইন লেগে যায়। দোকানের আরেকটি সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার হল দুধ কোলা। ঠিকানা 10/বি, হরিশ মুখার্জী রোড, ভবানীপুর।

রং দে বাসন্তী ধাবা (Rang De Basanti Dhaba): আপনি যদি সত্যিকারের উত্তর ভারতীয় খাবার খেতে চান, তাহলে আপনাকে রং দে বাসন্তী ধাবাতেই যেতে হবে। এখানে পাবেন মাক্কি কি রোটি, পায়ে কি শোরবা, পনির তাওয়া, চিকেন টিক্কা, তাওয়া মাটন, গাজরের হালুয়া, সারসন কা সাগ-র মতো উত্তর ভারতীয় ক্লাসিক খাবারগুলি। ঠিকানা: DN-37, স্ট্রিট নম্বর 13, ডিএন ব্লক, সেক্টর ফাইভ, বিধাননগর। সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই ধাবা।

Advertisement

রেওয়াজি হোক বা দেশি, যেখানে-সেখানে কেন? কলকাতার সেরা খাসির মাংসের দোকানগুলি জেনে নিন

আজাদ হিন্দ ধাবা (Azad Hind Dhaba): কলকাতার বুকে এই ধাবাটিই গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে সাধ্যের মধ্যে দামেই নানা রকমের খাবার মেলে। এখানকার তন্দুরি আইটেমগুলি আপনার মন জয় করবেই। এছাড়াও ট্রাই করতে পারেন ডাল তড়কা, বাটার নান, চিকেন টিক্কা মশালা ও লস্যি। ঠিকানা: 12/1, বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, বালিগঞ্জ। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই ধাবা।

বল্লু দা ধাবা (Ballu Da Dhaba): পাঞ্জাবি খাদ্য রসিকদের এখন নতুন গন্তব্য হয়েছে ক্যামাক স্ট্রিটের এই ধাবাটি। বিশাল এলাকা নিয়ে ধাবাটি গড়ে উঠেছে। ধাবার বাইরে আর ভেতরের সাজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। এখানকার ডাল মাখানি, টেংরি কাবাব অবশ্যই ট্রাই করবেন। ঠিকানা 4/1, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর সরণি, রাঘবেন্দ্র রাঠোর স্টোরের পাশে। দুপুর থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকে এই ধাবা।

পাঞ্জাবি রসোই (Punjabi Rasoi): যদিও পাঞ্জাবি রসোই ঐতিহ্যগত অর্থে একটি ধাবা নয়। তবে, আপনি যদি কিছু সাধারণ পাঞ্জাবি খাবার খেতে চান, তবে এই জায়গাটি সেরা বাজি হতে পারে। এখানকার কাবালি নান ও ডাল মাখনি খেলে স্বাদ চিরকাল মুখে লেগে থাকবে। পাঞ্জাবি রসোই ধাবা কসবা ওয়াটার ট্যাঙ্কের কাছে অবস্থিত। সকাল ১১টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই ধাবাটি। ঠিকানা হল-196, চক্রবর্তী পাড়া, রাজডাঙা, ওভারহেড ওয়াটার ট্যাঙ্কের কাছে, কসবা।

শর্মার ধাবা (Sharma Dhaba): এই ধাবাটি বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে চক্রবেড়িয়ায় অবস্থিত। শর্মা ধাবায় আপনি বাটারি গ্রেভি এবং স্মোকি কাবাব ছাড়াও নানা ধরনের খাঁটি উত্তর ভারতীয় খাবার পাবেন। বিরাটাকার রুমালি রুটি ও স্যান্ডউইচও খেতে পারেন। তবে সবচেয়ে যেটা মুখে লাগতে পারে সেটা হল বাটার চিকেন ভর্তা এবং তন্দুরি রুটি। এখানকার লস্যিও খুব ভাল। এই ধাবার ঠিকানা হল-17/1B, বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড., চক্রবেড়িয়া, বালিগঞ্জ। সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই ধাবা।

বচ্চন ধাবা (Bachan's Dhaba): দক্ষিণ কলকাতার এই ধাবায় খাওয়ার জন্য প্রচুর চটকদার জিনিস রয়েছে এবং সবকিছুই একেবারে অসামান্য। এখানে কিছু অসাধারণ খাবার হল চিকেন টিক্কা বাটার মসলা, ডিম তড়কা, সরসন দা সাগ এবং মাক্কি রোটি। এই ধাবাটি কালীঘাট মেট্রো স্টেশনের কাছে অবস্থিত, এটিকে সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়৷ পরিবেশ এবং বসার জায়গাও মনোরম। খাবারের দামও সাধ্যের মধ্যেই। বচ্চন ধাবার ঠিকানা হল-T39A, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, অনামি সংঘ, কালীঘাট। সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে ধাবা।

হানি দা ধাবা (Honey Da Dhaba): কাঁকুড়গাছির হানি দা ধাবায় আপনি একটি সুসজ্জিত বড় বসার জায়গায় সত্যিকারের ভাল পাঞ্জাবি খাবার উপভোগ করতে পারেন। ধাবার পরিবেশটি নজরকাড়া এবং খাবারের দামও সাশ্রয়ী মূল্যের। গেলে অবশ্যই এদের দেহাতি চিকেন, মশালা চিংড়ি, বাটার চিকেন, এবং চিকেন রারা খেতে ভুলবেন না। সঙ্গে নিতে হবে স্পেশাল পাঞ্জাবি মার্জারিন নান। ঠিকানা: P-54, ভিআইপি রোড, কাঁকুড়গাছি। সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

Advertisement

শের-ই-পাঞ্জাব (Sher-E-Punjab): আপনি যদি সপ্তাহান্তে পরিবারকে নিয়ে ভাল খাবার খেতে চান, তবে চলে আসুন যশোর রোডের ধারে অবস্থিত শের-ই-পাঞ্জাব ধাবায়। ধাবা কাকে বলে সেটা এখানে না এলে বুঝতে পারবেন না। কাবাব, রারা মাটন অবশ্যই খেয়ে দেখবেন। এছাড়াও এখানকার চিকেন ভর্তা, তন্দুরি চিকেন, মশালা কুলচাও খেয়ে দেখতে পারেন। ঠিকানা: যশোর রোড, সুকান্তনগর। সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে শের-ই-পাঞ্জাব ধাবা।

সানঝা চুলা (Sanjha Chulha): সানঝা চুলা হল একটি রেস্তরাঁ চেইন, যারা সম্প্রতি কলকাতার ধাবা ফুড ম্যাপে প্রবেশ করেছে। শহর জুড়ে এদের অনেকগুলি আউটলেট রয়েছে। এই ধাবাটি পরিবেশন করা সমস্ত সুস্বাদু পাঞ্জাবি খাবারের জন্য বেশ জনপ্রিয়। এখানে এলে অবশ্যই পরোটার সঙ্গে কান্ধারি চিকেন ও নানের সঙ্গে লাহোরি কিমা ট্রাই করবেন। ইএম বাইপাস, সাদার্ন অ্যাভিনিউ, পার্ক সার্কাস-সহ শহরের বুকে এদের কয়েকটি আউটলেট আছে। সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সবকটা আউটলেটই খোলা থাকে।

Advertisement