scorecardresearch
 

রবীন্দ্রনাথের বংশের পদবী ঠাকুর ছিল না, কী ছিল?

Real surname of Tagore's: ঠাকুর বংশের আসল পদবী কী ছিল জানেন? কী ভাবে পদবী বদলে ঠাকুর হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্ব পুরুষরা? কেন তাঁদের পদবী পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়েছিল? জেনে নিন...

Advertisement
ঠাকুর বংশের আসল পদবী কী ছিল জানেন? কী ভাবে পদবী বদলে ঠাকুর হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্ব পুরুষরা? ঠাকুর বংশের আসল পদবী কী ছিল জানেন? কী ভাবে পদবী বদলে ঠাকুর হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্ব পুরুষরা?
হাইলাইটস
  • ঠাকুর বংশের আসল পদবী কী ছিল জানেন?
  • কী ভাবে পদবী বদলে ঠাকুর হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্ব পুরুষরা?
  • কেন তাঁদের পদবী পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়েছিল? জেনে নিন

রাজ্যজুড়ে এশিয়ার প্রথম নোবেলজয়ী কবি, সাহিত্য, ঔপন্যাসিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ (ইংরেজির ১৮৬১ সালের ৭ মে) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

বাঙালির খুঁটিনাটি আবেগ, অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা, অভিব্যক্তির নিখুঁত প্রকাশ ঘটেছে তাঁর রচনায়। তিনি একাধারে কবি, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, সংগীত রচয়িতা-সুরকার, নাট্যকার, অভিনেতা ও দার্শনিক ছিলেন। বাঙালি মাত্রেই রবীন্দ্রনাথের বিষয়ে এই সব কথা জানেন। কারণ, তিনি হলেন বাঙালি জাতীর আত্মা-সম। তবে জানেন কি রবীন্দ্রনাথের বংশের পদবী ঠাকুর ছিল না। কী ছিল ঠাকুর বংশের আসল পদবী জানেন?

আরও পড়ুন: ভারত ছাড়া আর কোন কোন দেশের জাতীয় সঙ্গীত রবীন্দ্রনাথের লেখা?

ঠাকুর বংশের আসল পদবী হল 'কুশারী'। কুশারী থেকে ঠাকুর হয়ে ওঠার পথ মোটেই মসৃণ ছিল না। প্রায় দেড় শতকের ধর্মীয় গঞ্জনা, অপমান সহ্য করে, মানুষের সেবা বছরের পর বছর নিয়োজিত থেকে তবে দরিদ্র মানুষের কাছে দেবতুল্য জায়গা পান কুশারী বংশধরেরা, হয়ে ওঠেন ঠাকুর (ভগবান)। 

গরুর মাংসের গন্ধ শোঁকার অপরাধে কলঙ্কিত হন সুন্দরবন অঞ্চলের চার ব্রাহ্মণ জমিদার ভাই রতিদেব কুশারি, কামদেব কুশারি, শুকদেব কুশারি, জয়দেব কুশারি। এঁদেরই পরবর্তী বংশধর জগন্নাথ কুশারীর বংশধর রামানন্দের ছিল দুই ছেলে- মহেশ্বর আর শুকদেব। গোবিন্দপুরে প্রচুর দান-ধ্যান করে, দরিদ্রদের সেবা করে সেখানকার মানুষের কাছে জীবন্ত ভগবান বা ‘ঠাকুর’ হয়ে ওঠেন। 'কুশারী' পদবীর সঙ্গে কলঙ্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে দেখে গোবিন্দপুরে এসে 'কুশারী' পদবী ছেড়ে ওখানকার লোকেদের ডাকা ঠাকুর-কেই নিজেদের পদবী হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেন শুকদেব। অন্য ভাই মহেশ্বরের ছেলে পঞ্চাননও কাকার দেখাদেখি 'ঠাকুর' পদবীটাই লিখতে শুরু করলেন।

এঁদেরই পরবর্তী উত্তরসুরি নীলমণি সে সময় জোড়াবাগান অঞ্চলের বিখ্যাত ধনী ব্যবসায়ী বৈষ্ণবচরণ শেঠের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠেন। নীলমণিকে বন্ধুত্বের খাতিরে বর্তমানের জোড়াসাঁকোয় (সে কালের মেছুয়াবাজার) দেড় বিঘা জমি উপহার দিতে চান বাড়ি করে থাকার জন্য। এর পর এখানেই গড়ে ওঠে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি।

Advertisement

Advertisement