scorecardresearch
 

Kumari Puja 2022 : নারীকে সম্মান জানাতেই কুমারী পুজো, রইল পৌরাণিক কাহিনি

দুর্গাপুজোর (Durga Puja) সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে কুমারী পুজো (Kumari Puja In Durga Puja)। অনেক মন্দির, বারোয়ারি বা বাড়ির পুজোয় প্রথা মেনে আজও কুমারী পুজো হয়। মূলত দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিনই আয়োজিত হয় কুমারী পুজো। তবে কোথাও কোথাও নবমীর দিনও হয়। ১-১৬ বছর বয়সী কুমারীদের দেবীজ্ঞানে আরাধনা করার প্রথা রয়েছে কুমারীপুজোয়। বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন নামেও অভিহিত করা হয় কুমারীদের। 

Advertisement
কুমারী পুজো (ছবি সূত্র-সোশ্যাল মিডিয়া) কুমারী পুজো (ছবি সূত্র-সোশ্যাল মিডিয়া)
হাইলাইটস
  • দুর্গাপুজোয় হয় কুমারী পুজো
  • জড়িয়ে রয়েছে অনেক কাহিনি
  • জেনে নিন কী বলছে পুরাণ-শাস্ত্র

দুর্গাপুজো (Durga Puja 2022) শুরু। আর দুর্গাপুজোর (Durga Puja) সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে কুমারী পুজো (Kumari Puja In Durga Puja)। অনেক মন্দির, বারোয়ারি বা বাড়ির পুজোয় প্রথা মেনে আজও কুমারী পুজো হয়। মূলত দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিনই আয়োজিত হয় কুমারী পুজো। তবে কোথাও কোথাও নবমীর দিনও হয়। ১-১৬ বছর বয়সী কুমারীদের দেবীজ্ঞানে আরাধনা করার প্রথা রয়েছে কুমারীপুজোয়। বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন নামেও অভিহিত করা হয় কুমারীদের। 

কোলাসুর বধের কাহিনি
শাস্ত্র ও পুরাণে কুমারী পুজোয় উল্লেখ রয়েছে। কুমারী পুজোয় (Kumari Puja 2022) সূচনার নেপথ্যে বিভিন্ন কাহিনি শোনা যায়, যার মধ্যে অন্যতম কোলাসুর বধের কাহিনি। শোনা যায়, একসময় কোলাসুর স্বর্গ ও মর্ত্য অধিকার করে নেওয়ায় বিপন্ন হয়ে পড়ে দেবকুল। সেই সময় দেবতারা মহাকালীর শরণাপন্ন হয়। দেবতাদের কাতর আবেদনে সাড়া দিয়ে দেবী পুনর্জন্মে কুমারীরূপে কোলাসুরকে বধ করেন। তারপর থেকেই মর্ত্যে শুরু হয় কুমারী পুজো। সনাতন ধর্মে, সম্মানের বিচারে নারীকে শ্রেষ্ঠ আসনে বসানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে শাস্ত্রকাররা নারীকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতেই এই পুজোর কথা বলেছেন। অর্থাৎ হিন্দু শাস্ত্রে নারীকে সন্মান ও শ্রদ্ধার আসনে বসাতে এবং দেবীর কুমারী রূপের আরাধনা করতেই এই পুজোর বিধান দেওয়া হয়েছে। মনের অন্তরের পশুত্বকে সংযত রেখে নারীকে সন্মান জানানোই কুমারী পুজোর প্রধান ও মূল লক্ষ্য।

কুমারী পুজো (ছবি সূত্র-সোশ্যাল মিডিয়া)
কুমারী পুজো (ছবি সূত্র-সোশ্যাল মিডিয়া)

দেবীকে জাগরিত করলেন ব্রহ্মা
অন্যদিকে বৃহদ্ধর্মপুরাণে রামের জন্য ব্রহ্মার দুর্গাপুজোর বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। পুরাণ অনুসারে, সেই সময় ছিল শরৎকাল, দক্ষিণায়ণ, দেবতাদের নিদ্রার সময়। তাই, ব্রহ্মা স্তব করে দেবীকে জাগরিত করেন। দেবী তখন কুমারীর বেশে এসে ব্রহ্মাকে বলেন, বিল্ববৃক্ষমূলে দুর্গার বোধন করতে। দেবতারা মর্ত্যে এসে দেখলেন, এক দুর্গম স্থানে একটি বেলগাছের শাখায় সবুজ পাতার মধ্যে ঘুমিয়ে রয়েছে একটি তপ্তকাঞ্চন বর্ণা বালিকা। ব্রহ্মা বুঝলেন, সেই বালিকাই জগজ্জননী দুর্গা। এরপেরই বোধন-স্তবে তাঁকে জাগরিত করেন ব্রহ্মা। দেবী জাগরিত হয়ে বালিকামূর্তি ত্যাগ করে চণ্ডিকামূর্তি ধারন করেন। 

Advertisement

প্রকৃতি জ্ঞানে নারীকে পুজো
কারও কারও মতে আবার প্রাচীনকালে মুনিঋষিরা কুমারীপুজোর মাধ্যমে প্রকৃতিকে পুজো করতেন। প্রকৃতি মানে নারী। সেই প্রকৃতিরই আর এক রূপ কুমারীদের মধ্যে দেখতে পেতেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলেছেন, সমস্ত স্ত্রীলোকই ভগবতীর এক একটি রূপ। আর শুদ্ধাত্মা কুমারীতে সেই ভগবতীর  প্রকাশ বেশি। 

আরও পড়ুনবাংলার সতীপীঠগুলিতেও দুর্গাপুজোর খুব ধুমধাম, কীভাবে দর্শন? রইল

 

Advertisement