Durga Puja 2022 Satyajit Ray: টালিগঞ্জে সত্যজিৎ রায়ের 'জলসাঘর'। গুটি-গুটি পায়ে সেই প্রাসাদোপম বাড়ির ভেতরে ঢুকতেই কানে ভেসে এল গুপী গাইন-বাঘা বাইন জুটি গল্প জুড়েছে! এর মধ্যেই শোনা যাচ্ছে আরও এক কন্ঠস্বর। সেটা কার, তা বুঝতেই ভুল হওয়ার কথা নয়। এটা তো ভূতের রাজা।
দিন কয়েক পরে এমন দৃশ্যের সাক্ষী থাকবে কলকাতা। টালিগঞ্জের এক পুজো কমিটি বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষে শ্রদ্ধা জানাবে তাঁকে। আর সে কাজে তাঁরই সৃষ্টি করা সুর, আবহসঙ্গীত, ছবি ব্যবহার করা হবে। প্রতিমাতেও সত্যজিৎ-স্পর্শ।
সত্য়জিৎকে শ্রদ্ধা
তাদের পুজোর থিম 'সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ'। টালিগঞ্জ আদি দুর্গামঞ্চ পুজো কমিটির মণ্ডপ সাজানোর কাজ চলছে জোরকদমে। এরই মাঝে কথা হচ্ছিল পুজোকর্তাদের সঙ্গে। তারাই জানাল পুজো-পরিকল্পনা। এই জায়গায় ১২০ বছরের বেশি সময় ধরে পুজোর আয়োজন করা হয়। তবে তা মাঝে সরে গিয়েছিল। ফের ফিরে এসেছে আগের জায়গায়। পুজো কমিটির সদস্য অভিজিৎ সরকার সে ব্যাপারে খোলসা করলেন।
মণ্ডপসজ্জার খতিয়ান
কেমন ভাবে সেজে উঠছে তাঁদের পুজো? জলসাঘর সিনেমায় যে জমিদারবাড়ি দেখানো হয়েছিল, তার আদলে মণ্ডপের সামনের অংশ তৈরি হচ্ছে। আর ভেতরের দিক সেজে উঠছে সত্যজিৎ রায়ের বিভিন্ন সিনেমার পোস্টার, ছবি, সিনেমার দৃশ্যের হাত ধরে।
আরও পড়ুন: ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী টমেটো সুপ, বানান বাড়িতেই
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর লেকচার সিরিজে ডাক বিজেপি নেতাকে, প্রতিবাদে SFI
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্য়াপের সব থেকে বড় সমস্যা মিটতে চলেছে, আসছে শানদার ফিচার
সিলিং বা ওপরের অংশে থাকবে সত্যজিৎ রায়ের ছবি। তাঁর বিভিন্ন মুহূর্তের একের পর এক ছবি দিয়ে সাজানো হবে। তা হতে পারে তিনি ক্যামেরার পিছনে দাঁড়িয়ে, কোথাও বসে রয়েছেন অথবা লেখালেখি করছেন। এমনই বিভিন্ন রকমের কিছু বিরল ছবি জোগাড় করা হয়েছে। সেগুলোর কোলাজ তৈরি হচ্ছে।
আবহেও ভেসে উঠবে তাঁর সুর
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকেও সত্যজিৎ রায়ের ছোঁয়া। যেমন সোনার কেল্লা ছবিতে উটে করে রেলের দিকে ছুটে যাওয়ার দৃশ্যে যে ব্য়াকগ্রাউন্ড মিউজিক, গুপী গাইন বাঘা বাইন সিনেমায় যে-রকমের আবহ সঙ্গীত ব্য়বহার করেছিল, সেগুলো শুনতে পারবেন দর্শনকরা। এর পাশাপাশি শোনা যাবে ভূতের রাজার কথাও। যা আসলে সত্যজিৎ রায়ের কন্ঠস্বর। আলোর খেলা থাকবে মণ্ডপ জুড়ে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের আলো।
জয় বাবা ফেলুনাথ!
জয় বাবা ফেলুনাথ সিনেমায় যে দুর্গাঠাকুর দেখানো হয়েছিল, সিংহের মুখের ভেতর গণেশের মূর্তি ছিল, তার আদলে এখানকার প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। মানে প্রতিমাতেও সত্যজিৎ-ভাবনা। প্রতিমাশিল্পী কালীঘাট পটুয়াপাড়ার রাজীব পাল, মণ্ডপসজ্জা এবং আলোর দায়িত্বে রয়েছেন বিলু দত্ত এবং নিমু মিত্র।