করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সিকিম। প্রথম দুবার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা এবং আঁটোসাটো দরজা করেও করোনার প্রকোপ থেকে রাজ্যকে বাঁচানো যায়নি। মাঝখান থেকে ধসে গিয়েছিল শৈলরাজ্য সিকিমের অর্থনীতি। মূলধনের ওপর নির্ভরশীল রাজ্যটি বহিরাগতদের আনাগোনা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল।
সব রকম যাতায়াত অবাধ
সেই জায়গা থেকে তৃতীয় দফায় যেখানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেখানে শর্ত সাপেক্ষে ছাড় দিয়ে দিয়েছিল সিকিম। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে থাকা rt-pcr রিপোর্ট কিংবা কোভিড টিকার ডাবল ডোজের থাকলেই সিকিমের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল। এমনকী বিদেশিদের সাত দিন ভারতে থাকার মেয়াদ পার হলেই তারা সেখানে যেতে পারছিলেন না। এবার আরও সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে কোনও রকম বাধা নিষেধ ছাড়াই যাতায়াত অবাধ করে দিল সিকিম সরকার।
খুশির হাওয়া গোটা সার্কিটে
ব্যবসা-বাণিজ্য যাতায়াত পর্যটন সবক্ষেত্রেই নিয়ম শিথিল থাকবে বলে বৃহস্পতিবার এক নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান সচিব আর টেলং। এ সিদ্ধান্তের ফলে পর্যটন সার্কিটের সদর্থক বার্তা পৌঁছাচ্ছে বলে মনে করছেন সকলে। হিমালয়ান হসপিটালিটি এন্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন দার্জিলিং পাহাড় ডুয়ার্স টুরিস্ট স্পট গুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত রকম বিধিনিষেধ তুলে নিল সিকিমও। এর ফলে অবাধ পর্যটনে সুবিধে হবে। পর্যটকদের ভীতি কেটে যাবে যা গোটা সার্কিটের ক্ষেত্রেই ইতিবাচক পদক্ষেপ।
তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এখনও
টানা রেকর্ড তুষারপাত হওয়ার পর আপাতত না হলেও মার্চের নতুন করে তুষারপাত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ দার্জিলিং পাহাড় এলাকায় মার্চে স্বাভাবিকভাবে তুষারপাত হয়। এ,ছাড়া বিভিন্ন এলাকা এখনও তুষারে ঢাকা রয়েছে দার্জিলিং থেকে সান্দাকফু, ফালুট সব মিলিয়ে আরও কিছু এলাকায় বরফ রয়েছে। ফলে আরও একবার পর্যটন কেন্দ্রে তুষার পর্যটনকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে সুবিধে হবে।