
#BringBackCycles: ইতিমধ্যেই শহরের রাজপথে দূষণমুক্ত সাইকেল ফিরিয়ে আনার আবেদন যথেষ্ট জনসমর্থন পেয়েছে।কলকাতার ৬৪টি রাস্তায় সাইকেল নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ 'সিটি অফ জয়'-এর মানুষকে হতাশ করেছে! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শহরের রাজপথে দূষণমুক্ত সাইকেলের উপর চাপানো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে একটি খোলা চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে যে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ-এর এই নিষেধাজ্ঞা তাদের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর, যাঁদের বায়ু দূষণের ফলে বিভিন্ন শ্বাসকষ্টজনিত রোগে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি।
শহরের রাজপথে সাইকেলের উপর চাপানো এই নিষেধাজ্ঞাকে অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করে, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সুইচঅন ফাউন্ডেশন, এই চিঠির পাশাপাশি জনমত সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। #BringBackCycles-এর সঙ্গে কলকাতার ৬৪টি রাস্তায় সাইকেল নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আদেবনের সমর্থনে জনমত সংগ্রহ করছে।
শহরের যে ৬৪টি প্রধান রাস্তায় সাইকেল চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেগুলির মধ্যে ক্যামাক স্ট্রিট, শেক্সপিয়ার সরণি, মহাত্মা গান্ধী রোড, রাসবেহারী অ্যাভিনিউ কানেক্টর, আশুতোষ মুখোপাধ্যায় রোডের মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাও রয়েছে।
ইতিমধ্যেই শহরের রাজপথে দূষণমুক্ত সাইকেল ফিরিয়ে আনার আবেদন যথেষ্ট জনসমর্থন পেয়েছে। যাঁরা সাইকেল ফিরিয়ে আনার দাবিতে খোলা চিঠির অনুমোদন দিয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা-চলচ্চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন, ২০২০ টোকিও অলিম্পিক-খ্যাত আর্চার রাহুল ব্যানার্জি, সংসদ সদস্য এবং অধ্যাপক সৌগত রায়, গায়ক উষা উথুপ, সংগীতশিল্পী অনুপম রায়, অনকোলজিস্ট ডা: চন্দ্রকান্ত এমভি, ক্রীড়াবিদ দোলা ব্যানার্জি, অভিনেতা অনিন্দ্য চ্যাটার্জী, ফটোসাংবাদিক রঘু রাই, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী সুমন্ত ব্যানার্জি, অর্থনীতিবিদ ও সমাজ বিজ্ঞানী জিন ড্রেজ এবং হ্যাজার্ড সেন্টারের পরিচালক দুনু রায়।

মহানগরের পথে সাইকেল ফিরিয়ে আনার পক্ষে সওয়াল করেছেন রাজ্যের শাসক দলের বর্ষীয়ান নেতা, তৃণমূল সাংসদ, অধ্যাপক সৌগত রায়। তিনি বলেন, “আমি সব সময়েই সাইকেলের পক্ষে। আমি চাই কলকাতার রাস্তায় সাইকেল ফিরুক। এটি দূষণ কমাবে এবং জ্বালানীর সাশ্রয় করবে। গোটা ইউরোপ জুড়ে এখন সাইকেলের জনপ্রিয়তা। সংসদের বাদল অধিবেশনেও আমাদের দলের সাংসদরা সাইকেল চালিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন।”
এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট্য লেখক রাস্কিন বন্ড বলেন, “বিশ্বজুড়েই ফিরছে সাইকেল। এগুলি বায়ুমণ্ডল দূষিত করে না। এগুলি যানজট সৃষ্টি করে না। আমাদের কলকাতা এবং অন্যান্য শহরেও এগুলির প্রয়োজন।”
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের প্রাক্তন আডিশনাল ডিরেক্টর ড: দীপঙ্কর সাহা বলেন, “কলকাতায় যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়ার বাতাসের মানের অবনতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নাগরিকদের দূষণমুক্ত গতিশীলতার জন্য একটি সাইকেল করিডোরের মতো পরিঠামোর প্রয়োজন। ব্যস্ত রাস্তায় কোনও সাইকেল লেন নির্মাণ করা উচিত নয়। যতদূর সম্ভব, সাইকেল লেন সবুজ, বনাঞ্চল ইত্যাদির কাছে তৈরি করা উচিত।”