R G Kar Protest: 'We Want Justice', 'হোক প্রতিবাদ' টিশার্ট, পুজো শপিংয়ে দেদার বিকোচ্ছে, দাম কেমন?

এবার পুজোর শপিংয়েও 'হোক প্রতিবাদ'। বেড়েছে 'We want justice', 'উৎসব নয় বিচার চাই', 'উৎসবে ফিরছি না', 'মেরুদণ্ড বিক্রি নেই' লেখা টি-শার্টের চাহিদা। কোনও টি-শার্টে মেরুদণ্ড আঁকা ছবি তো, কোনও টি শার্টে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে মুঠো করা সারিবদ্ধ হাত। কালো, লাল, নীল রঙের ওপর ফুটে উঠছে প্রতিবাদের নকশা। নারী, পুরুষ এই ধরনের টি-শার্ট কিনতেই বাড়ছে আগ্রহ। 

Advertisement
'We Want Justice', 'হোক প্রতিবাদ' টিশার্ট, পুজো শপিংয়ে দেদার বিকোচ্ছে, দাম কেমন?এবারের পুজো শপিংয়েও প্রতিবাদ (Printed t-shirt Image Credits: bong swag)

R G Kar Protest: এবার পুজোর শপিংয়েও 'হোক প্রতিবাদ'। বেড়েছে 'We want justice', 'উৎসব নয় বিচার চাই', 'উৎসবে ফিরছি না', 'মেরুদণ্ড বিক্রি নেই' লেখা টি-শার্টের চাহিদা। কোনও টি-শার্টে মেরুদণ্ড আঁকা ছবি তো কোনও টি শার্টে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে মুঠো করা সারিবদ্ধ হাত। কালো, লাল, নীল রঙের ওপর ফুটে উঠছে প্রতিবাদের নকশা। নারী, পুরুষ নির্বিশেষে বাড়ছে এই টি-শার্ট কেনার আগ্রহ। 

অনেক টি-শার্ট ডিজাইন কোম্পানিগুলিতে আসছে ঢালাও অর্ডার। শহরের এমনই এক টি-শার্ট ডিজাইনিং কোম্পানির সদস্য জানিয়েছেন, '১৪টা টি-শার্ট বানিয়েছিলাম দিন দুয়েকেই ১০-১২টা বিক্রি হয়ে গেছে। আরও অর্ডার আসছে। ২-৩ জন মিলে কাজ করি, চেষ্টা করছি যত কম সময়ে টি-শার্টগুলি ক্রেতাদের পৌঁছে দেওয়া যায়।'

অনলাইন, হোয়াটসঅ্যাপেই ঢুকছে অর্ডার। ৪০০-৫০০ টাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে টি-শার্টগুলি। 

তিনি আরও বলেন, "এবারের পুজো অন্যবারের থেকে আলাদা। তাই বিদ্রোহ নিয়ে টি-শার্টের চাহিদা বেশি।" অন্য সময়ের মতো সাধারণ টি-শার্ট ডিজাইন তো আছেই, তবে এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদের টি-শার্টগুলি মানুষের কাছে বেশি করে পৌঁছে দিতে চাইছেন তাঁরা। শুধু তাঁরাই নন, সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করলেই এই ধরনের টি-শার্টের দেখা মিলছে।

বাংলা গ্রাফিক প্রিন্টেড টি-শার্ট স্টোর বংসোয়্যাগও জানিয়েছে, "অনেকেই আমাদের কাছে আসছেন, উই ওয়ান্ট জাস্টিস, জাস্টিস ফর আরজি কর টি-শার্ট বানাচ্ছেন।"

বংসোয়্যাগের টি-শার্টে  'প্রতিবাদ':

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by BongSwag (@officialbongswag) 

মহালয়া আসতে বাকি আর মাত্র ১২ দিন। শহরে এখনও পর্যন্ত নেই শপিংয়ের ঢল, পুজো পুজো ভাব। অন্যবারের থেকে অনেকটাই ম্লান।  নেই পুজোর কাউন্টডাউন নিয়ে মাতামাতি। বরং তার জায়গা নিয়েছে আর জি কর কাণ্ডের কউন্টডাউন, ৪০, ৪১, ৪২ দিন...পেরোলো বিচার নেই।

আর জি করে চিকিৎসক তরুণীর খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদে পথে নেমে আন্দোলন নেমেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। একই স্বরে গর্জে উঠেছেন প্রতিবাদ, পিতৃতন্ত্রের অবসানের দাবিতে। তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেল চিকিৎসা থেকে প্রশাসনের অব্যবস্থাকে। বছরের পর বছর ধরে চলা ভয়ের সংস্কৃতি, ঘুণ ধরে যাওয়া স্বাস্থ্য পরিষেবাকে। সমাজের সমস্ত স্তরে, সমস্ত পেশা, সব বয়সের মানুষই পথে প্রতিবাদে নেমেছে। একের পর এক অভিনব প্রতিবাদের সাক্ষী থেকেছে 'কল্লোলিনী কলকাতা'। যা আগে কেউ কোনওদিন দেখেনি।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement