আরটি-পিসিআর পরীক্ষাতেও ধরা পড়ছে না করোনা! আর সেটা ওমিক্রনের নতুন ধরন। ওমিক্রনের সাব-স্ট্রেইনের হদিশ পেয়েছে বিশ্বের ৪০টি দেশ। আর এই সাব-স্ট্রেইন চিহ্নিত করা যাচ্ছে না আরটি-পিসিআর পরীক্ষায়। BA.2 সাব-স্ট্রেইন বা 'গুপ্ত ওমিক্রন' নতুন করে আশঙ্কা তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উপ-প্রজাতি ইউরোপে করোনার শক্তিশালী ঢেউ আনতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ওমিক্রনের তিনটি সাব-স্ট্রেইন রয়েছে। সেগুলি হল - BA.1, BA.2 এবং BA.3। বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন সংক্রমণে বিএ.১ সাব-স্ট্রেইন দাপট বেশি। তবে দ্রুত বাড়ছে বিএ.২ উপপ্রজাতিও। যেমন ডেনমার্কের ২০ জানুয়ারির পরিসংখ্যান বলছে, দেশের সক্রিয় করোনা আক্রান্তদের অর্ধেকের শরীরে মিলেছে বিএ.২ সাব-স্ট্রেইন। বিএ.২ সাব-স্ট্রেইন নিয়ে তদন্ত করছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এটিকে 'আশঙ্কাজনক উপপ্রজাতি' হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
'গুপ্ত ওমিক্রন'
ব্রিটেন ও ডেনমার্ক ছাড়া বিএ.২ সাব-স্ট্রেইন মিলেছে সুইডেন, নরওয়ে এবং ভারতে। এই নতুন উপপ্রজাতি বিএ.১-কে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ভারত ও ফ্রান্সের বিজ্ঞানীরা। বিএ.২-র ৫৩টি সিকোয়েন্সকে সনাক্ত করেছে ব্রিটেন।
কেন 'গুপ্ত ওমিক্রন' আশঙ্কার?
গবেষকদের মতে, বিএ.১-র সঙ্গে ৩২টি স্ট্রেইন ভাগ করে নিয়েছে বিএ.২। ২৮ বার মিউটেশন হয়েছে। বিএ.১ সাব-স্ট্রাইনের মিউটেশনে স্পাইক জিন ধরা পড়ে পিসিআর পরীক্ষায়। কিন্তু এই ধরনের মিউটেশন নেই বিএ.২-র। ফলে তা ধরা পড়ে না।
পিসিআর পরীক্ষা কার্যকর নয়?
বিএ.১ সাব-স্ট্রেইনও অনেক ক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় ধরা পড়ে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসের চিহ্নিতকরণে এই পরীক্ষাই সর্বাধিক উত্তম। রেডিওলজিস্ট হর্ষ মহাজনের কথায়,''ভাইরাসের হদিশ পেতে আরটি-পিসিআর পরীক্ষাই সেরা। ওমিক্রন ও ডেলটার সংবেদনশীলতা বা পিক আপ রেটের কোনও ফারাক নেই। ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিনে ৩০ বারের বেশি মিউটেশন হয়েছে। তাতে সংবেদনশীলতার কোনও তফাৎ হয় না। ফলে পরীক্ষায় ধরা পড়ে।''
আরও পড়ুন- Corona cases in India: করোনার সুপার স্পিড, ২৪ ঘন্টায় মৃত ৪৮৮