scorecardresearch
 

Telephonic Class in West Bengal: 'টেলিফোনিক ক্লাস' চালু রাজ্য শিক্ষা দফতরের, কতটা কার্যকরী?

করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই ফের বন্ধ স্কুল, কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মাস দু'য়েক স্কুল, কলেজের মুখ দেখতে না দেখতেই ফের বন্ধ হল শিক্ষাঙ্গনের দরজা। আবার ফিরল অনলাইনে পড়াশুনা। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের উদ্যোগে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য ফিরিয়ে আনা হল 'টেলিফোনিক ক্লাস'। সোমবার থেকে স্কুল শিক্ষা দফতরের তত্ত্বাবধানে ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরিচালনায় 'বাংলার‌ শিক্ষা-দূরভাষে’ নামের এই উদ্যোগটি চালু হয়েছে। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • রাজ্য সরকারের উদ্যোগে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য ফিরিয়ে আনা হল 'টেলিফোনিক ক্লাস'
  • রাজ্যের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য চালু হয়েছে দূরভাষে শিক্ষার এই ব্যবস্থা
  • সোমবার থেকে স্কুল শিক্ষা দফতরের তত্ত্বাবধানে ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরিচালনায় 'বাংলার‌ শিক্ষা-দূরভাষে’ নামের এই উদ্যোগটি চালু হয়েছে

করোনার (COVID) তৃতীয় ঢেউ (Third Wave) আছড়ে পড়তেই ফের বন্ধ স্কুল, কলেজ (School-College) সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মাস দু'য়েক স্কুল, কলেজের মুখ দেখতে না দেখতেই ফের বন্ধ হল শিক্ষাঙ্গনের দরজা। আবার ফিরল অনলাইনে পড়াশুনা। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের উদ্যোগে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য ফিরিয়ে আনা হল 'টেলিফোনিক ক্লাস' (Telephonic Class)। সোমবার থেকে স্কুল শিক্ষা দফতরের তত্ত্বাবধানে ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরিচালনায় 'বাংলার‌ শিক্ষা-দূরভাষে’ নামের এই উদ্যোগটি চালু হয়েছে। 

কারা টেলিফোনিক ক্লাস করতে পারবে?

রাজ্যের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য চালু হয়েছে দূরভাষে শিক্ষার এই ব্যবস্থা। 

কোন দিন, কী ভাবে মিলবে টেলিফোনিক ক্লাসের পরিষেবা?

রবিবার ছাড়া সোম থেকে শনিবার অভিজ্ঞ শিক্ষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে বলে নিতে পারবে পড়ুয়ারা। তাদের সমস্ত প্রশ্ন-উত্তরের জবাব দেবেন অভিজ্ঞ শিক্ষকেরা। ১৮০০১২৩২৮২৩ এই টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করলেই শিক্ষকদের নিজেদের জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন করে নিতে পারবে পড়ুয়ারা।

তবে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম এবং নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য দু'টি ভিন্ন সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের ফোন করার জন্য দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন, 'গঙ্গাসাগর মেলা হলে স্কুল কলেজ খুলবে না কেন?' HC-তে জনস্বার্থ মামলা

কতটা কার্যকরী টেলিফোনিক ক্লাস?

রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ২০২০ সালের শেষ দিকে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়। সেসময় পড়ুয়াদের ব্যাপক সাড়া মিলেছিল। ২০২২-এর গোড়ায় আবার শুরু হল এই পরিষেবা। কতটা কার্যকরী হবে এই পরিষেবা?

Advertisement

এ বিষয়ে শহর কলকাতার হিন্দু স্কুলের প্রধানশিক্ষক শুভ্রজিৎ দত্ত মনে করছেন, যে সমস্ত পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসের সুযোগ নেই তারা যাতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়ে সেক্ষেত্রে এই উদ্যোগটি খুবই ফলপ্রসূ। তারা যাতে শিক্ষার অঙ্গন থেকে দূরে না থাকে তার জন্য এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি এও জানান, বাংলার একটি সংবাদমাধ্যমেও রাজ্য সরকারের তরফে ক্লাস করানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রত্যন্ত এলাকার পড়ুয়ারা বিডিও, জেলাভিত্তিক অফিসগুলিতে গিয়ে ক্লাস করতে পারবে। 

হিন্দু স্কুলেরই দশম শ্রেণির ছাত্র অর্ঘ্যদীপ দত্তের বক্তব্য, অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি টেলিভিশনেও ক্লাসগুলি দেখার ও প্রশ্ন করার সুযোগ হচ্ছে বলে খুবই উপকৃত। স্কুলের শিক্ষকদের কাছে তো ক্লাস করার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের আরও অনেক শিক্ষকেরা ক্লাস করাচ্ছেন বলে তা আরও লাভজনক হয়ে উঠেছে।

অন্যদিকে, ব্যারাকপুর গার্লস হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী শ্রেয়সী বিশ্বাসের মন্তব্য, টেলিভিশনে ক্লাস আমরা দেখছি, তবে স্কুলে এখনও অনলাইন ক্লাস শুরু হয়নি।

টাকি গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা শম্পা চক্রবর্তীর বক্তব্য, পড়ুয়ারা টেলিফোনিক ক্লাস ও টেলিভিশনের ক্লাস করতে পারছে। তাদের ১০০ শতাংশ ছাত্রীরাই এই ক্লাসে অংশগ্রহণ করছে, পাশাপাশি স্কুলের অনলাইন ক্লাসও চলছে।

করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকায় শারীরিকভাবে উপস্থিত থেকে ক্লাস না করায় সমস্যা সৃষ্টি হলেও রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ পরিস্থিতি অনুযায়ী ফলপ্রসূ বলে মনে করছেন শিক্ষক, শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়ারা।

Advertisement