Raigunj Marriage At Correctional Home: সংশোনাগারে হঠাৎ বিয়ের সাজে হাজির এক কনে। তিনি বিয়ে করবেন। পাত্র কে? জেলবন্দি এক যুবক। সংশোধনাগারের কর্মী-অফিসাররা বাধা তো দেননিই, বরং নিজেরা উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন দুজনকে। এমনও হয় নাকি? বিষয়টি জানাজানি হতেই এই প্রশ্নই ভিড় করে এসেছে সকলের মনে। নিশ্চয় আমি-আপনিও ব্যতিক্রম নই। কিন্তু আপনারা যা ভাবছেন ব্যাপারখানা তা নয়। আসলে আদালতের নির্দেশেই এমন ঘটনা ঘটেছে। জেলে বিয়ের এই রিপোর্ট আদালতে পাঠালে তবেই ওই যুবকের মিলবে জামিন। তবে অপরাধের শাস্তি নয়, প্রায়শ্চিত্ত হয়েছে বলা যায়।
পরনে শাড়ি, গয়না, হাতে মেহেন্দি আর গলায় মালা। বধূর সাজে জেলে হাজির মহিলা। আদালতের নির্দেশে রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগারে এমনই নজিরবিহীন বিয়ের সাক্ষী থাকলেন কর্মকর্তারা। জেলেই অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয় অভিযোগকরিণীর। রায়গঞ্জ জেলা আদালতের নির্দেশে জেলা সংশোধনাগারে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয় দুই জনের। ম্যারেজ রেজিস্ট্রার, কনেপক্ষ ও বরপক্ষ, সবাই এদিন উপস্থিত ছিলেন জেলে।
জানা গিয়েছে, যুবকের বাড়ি উত্তর প্রদেশের বেনারসে। যুবতীর বাড়ি রায়গঞ্জে। বছর তিনেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দুইজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। যুবক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে যুবতী জিনিসপত্র নিয়ে বেনারসে যান। কিন্তু অভিযোগ, যুবকের বাড়ির লোকজন মেনে না নেওয়ায় তিনি ফিরে আসেন রায়গঞ্জে। কিছুদিন পর আবার বেনারসে যান তিনি। কিন্তু অভিযোগ সে বারও তাঁকে ফিরিয়ে দেয় ওই যুবক। এর পর রায়গঞ্জ থানায় দ্বারস্থ হন ওই যুবতী। পুলিশের কাছে তাঁর অভিযোগ ছিল যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করা হয়েছে। এই মর্মে অভিযোগ পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ বেনারস থেকে যুবক ও তার বাবাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।
মামলা আদালতে উঠলে বিচারক শর্ত দেন জামিন পেতে অভিযুক্ত যুবককে জেলেই বিয়ে করতে হবে অভিযোগকারী যুবতীকে। সেই মতো এ দিন রেজিস্ট্রি করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। জেলসুপার রাজেশ কুমার মন্ডল জানান, আদালতের নির্দেশেি এই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। ম্যারেজ রেজিস্ট্রার শুভদীপ মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্য়মকে জানিয়েছেন, এমন বিয়ে এই প্রথম সাক্ষী থাকলেন তিনি। অভিযোগকারীর আইনজীবী দীপঙ্কর দাসও স্বীকার করেছেন, এভাবে বিয়ে তাঁর ক্যারিয়ারেও তিনি আগে দেখেননি।