scorecardresearch
 

World Cup Controversy : 'বিশ্বকাপ জেতার পুরো কৃতিত্ব অস্ট্রেলিয়াকে দেওয়া হচ্ছে না', অজি মিডিয়ায় তোলপাড়

বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু বিতর্ক থামছে না। অস্ট্রেলিয়া জিতলেও সেই দেশের মিডিয়ার অভিযোগ থামছে না। বরং তা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে।

Advertisement
Australia team won wc 2023 Australia team won wc 2023
হাইলাইটস
  • বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া
  • কিন্তু বিতর্ক থামছে না
  • অস্ট্রেলিয়া জিতলেও সেই দেশের মিডিয়ার অভিযোগ থামছে না

বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু বিতর্ক থামছে না। অস্ট্রেলিয়া জিতলেও সেই দেশের মিডিয়ার অভিযোগ থামছে না। বরং তা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। 

ঘটনার সূত্রপাত বিশ্বকাপ ফাইনালের ম্যাচ থেকেই। সেদিন ,ভারতের হার যখন প্রায় নিশ্চিত তখন দর্শকদের অনেকেই স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে যায়। তা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়া।  এখন অস্ট্রেলিয়া মিডিয়ার অভিযোগ, 'ভারতের প্রাক্তন খেলোয়াড়রা এমন সব মন্তব্য করছে, যা দেখে মনে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে এই জয়ের কৃতিত্ব পুরোপুরি দেওয়া হচ্ছে না। তাদের দাবি, কোনও ক্রিকেটার ভারতের হারের জন্য কখনও পিচকে আবার কখনও টসকে গুরুত্ব দিচ্ছে। তাদের আরও অভিযোগ, অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ জিতলেও চ্যাম্পিয়ন বলা হচ্ছে টিম ইন্ডিয়াকে।  

রিকি পন্টিংয়ের মতো অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তিও পিচ বিতর্ককে ইস্যু বানিয়ে নিজেদের দলের জয়কে ছোটো করেছে বলেও অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়াও ক্ষুব্ধ। রিকি পন্টিং এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, 'ভারতের পক্ষে অনুকূল পিচ তৈরির জুয়া তার বিপরীতে হয়েছিল।' অস্ট্রেলিয়ার একটি শীর্ষস্থানীয় ওয়েবসাইট লিখেছে, 'সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হল ভারতীয় ক্রিকেটের বড় কিংবদন্তিরাও আগুনে ইন্ধন যোগাচ্ছেন।'
 
ওয়েবসাইট নিউজ ডটকম প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের বক্তব্য উল্লেখ করেছে। সঞ্জয় মাঞ্জরেকর লিখেছেন, 'পিচটি বেশ শক্ত ছিল এবং উপর থেকে রুক্ষ দেখাচ্ছিল। এই পিচে, প্রথম বল থেকেই টার্ন হওয়ার কথা ছিল, তাই অস্ট্রেলিয়া কোনও বড় ঝুঁকি নেয়নি। শিশির পড়তে শুরু করার পর, ব্যাট করা সহজ হয়ে যেত কারণ বল বেশি টার্ন হচ্ছিল না। এছাড়াও, স্লোয়ার বলও সিমারের জন্য বিকল্প ছিল না। তার মানে প্রথমে বোলিং করা দলের জন্য এটা ছিল জয়-জয় পরিস্থিতি, যেমন দুই হাতে লাড্ডু। স্পষ্ট করে বলতে গেলে, ভারত প্রথমে কন্ডিশনেই পরাজিত হয়েছিল।'

আরও পড়ুন

Advertisement

টস জেতাকে একটি ইস্যু বানিয়েও মিডিয়া ক্ষুব্ধ হয়েছে। সঞ্জয় মাঞ্জরেকরের এই বক্তব্য অনেক ক্রীড়া সাংবাদিক ভালোভাবে নেয়নি। ক্রিকেট লেখক ডেভ টিকনার প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, 'ক্রিকেটের স্তাবক এখনও জোর দিয়ে বলেন যে টস একটি বিশাল ফ্যাক্টর এবং খেলা পরিবর্তন করে। যেখানে রোহিত শর্মা নিজেই বলেছিলেন যে তিনি টস জিতে ব্যাট করতেন।'

আবার মহম্মদ কাইফের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়া। মহম্মদ কাইফ বলেছিলেন, 'অস্ট্রেলিয়াকে অভিনন্দন কিন্তু আমি মেনে নিতে প্রস্তুত নই যে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের সেরা দল ছিল। ভারতীয় দল ছিল সেরা দল। কাগজে কলমে এই দলটি ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। একই অস্ট্রেলিয়ান দলের বিপক্ষে তারা অনেকবার জিতেছে কিন্তু আজ হেরেছে।'

কাইফের বক্তব্যকে ট্যুইট করে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টার চ্যানেলের (এবিসি) একজন ক্রীড়া সাংবাদিক লিখেছেন, 'কাউকে মহম্মদ কাইফকে মনে করিয়ে দেওয়া উচিত যে বিশ্বকাপের ফাইনাল কাগজে নয়, ক্রিকেট মাঠে জেতে।'

অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটটি লিখেছে যে অস্ট্রেলিয়া যখন এ বছর অ্যাশেজ সিরিজ জিতেছিল, তখন ইংল্যান্ডও একটি কথিত নৈতিক জয় দাবি করেছিল। মোহাম্মদ কাইফের মতোই বিবৃতি দিয়েছেন ব্রিটিশ ব্যাটসম্যান জো রুটও। এখন বাস্তবতা মেনে নেওয়া উচিত। 
 

 

Advertisement