স্কিন ক্যান্সারের অপারেশন হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজেই একথা জানিয়েছেন ক্লার্ক। প্রাক্তন অজি ক্রিকেটার অন্যদের স্বাস্থ্যের প্রতি সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন। ৪৪ বছরের এই খেলোয়াড় বুধবার (২৭ অগাস্ট) ইনস্টাগ্রামে অপারেশনের পর নিজের একটি ছবি শেয়ার করেছেন। সঙ্গে ক্যান্সার প্রতিরোধ ও প্রাথমিক শনাক্তকরণের গুরুত্ব সম্পর্কে একটি স্পষ্ট বার্তাও দিয়েছেন।
ক্লার্ক লিখেছেন, 'ত্বকের ক্যান্সার বাস্তব! বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ায়। আজ আমার নাক থেকে আরেকটি কেটে ফেলা হয়েছে। নিয়মিত আপনার ত্বক পরীক্ষা করুন। নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধ ভাল। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে নিয়মিত চেকআপ এবং প্রাথমিক শনাক্তকরণ গুরুত্বপূর্ণ।'
ক্লার্ক অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০০৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ক্রিকেট খেলেছেন। তিনি ১১৫টি টেস্ট, ২৪৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক এবং ৩৪টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৮,৬৪৩টি টেস্ট রান, ৭,৯৮১টি ওয়ানডে রান। তিনি বিভিন্ন ফর্ম্যাটে ৯৪টি উইকেট নিয়েছেন।
ক্লার্ক ৭৪টি টেস্ট এবং ১৩৯টি ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব করেছেন। ২০১৩-১৪ সালে ৫-০ ব্যবধানে অ্যাশেজ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এবং ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছেন। ব্যাট হাতে অসাধারণ পারফর্ম করার কারণে ২০১৩ সালে তিনি আইসিসি-র বর্ষসেরা ক্রিকেটার এবং আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত হন।
স্কিন ক্যান্সারের কারণ কী?
ত্বকের কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির কারণে স্কিন ক্যান্সার হয়। মূলত সূর্যের আলো বা ট্যানিং বেডস থেকে আসা অতিবেগুনী (UV) বিকিরণের কারণে। এটি বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ রূপ। প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ায় স্কিন ক্যান্সারের হার বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। যার প্রধান কারণ হল এর উচ্চ UV বিকিরণের মাত্রা, বিষুবরেখার কাছাকাছি অবস্থান এবং ফর্সা ত্বক। পরিসংখ্যান অনুসারে, ৭০ বছর বয়সের মধ্যে প্রতি ৩ জনের মধ্যে ২ জনের ত্বকের ক্যান্সার ধরা পড়ে।