আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) চেয়ারম্যান জয় শাহ (বামে) ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে বিজয়ী ট্রফি প্রদান করছেনশেষ ২৪ ম্যাচে মাত্র একটা হার। সেটা সবচেয়ে কঠিন বললেও কম বলা হবে। ২০২৩-এর বিশ্বকাপ ফাইনাল। ঘরের মাঠের সেই হারের ধাক্কা কাটিয়ে পরপর দুইবার ভারতকে বিশ্বের মঞ্চে সেরা করলেন রোহিত শর্মা। গত বছর টি২০ বিশ্বকাপ জেতার পর এবার ফের সাদা বলের ক্রিকেটে নিজেদের আধিপত্য স্থাপন করল ভারত।
২৫ বছর আগে আইসিসি নক আউট টুর্নামেন্টে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছিলেন ৪ উইকেটে। সৌরভদের সেই যন্ত্রণা ঘুচিয়ে এদিন রোহিত শর্মারা ফাইনালে ৪ উইকেটে হারালেন কিউয়িদের। নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয়বার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হল টিম ইন্ডিয়া। টানা দু বছরের দুটি আইসিসি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হল রোহিত শর্মার দল। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এবার ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হল ভারত। পুরো টুর্নামেন্টে সব কটা ম্যাচে জিতে চ্যাম্পিয়ন হলেন রোহিতরা। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও দু'বার কিউয়িদের হারিয়ে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেতাব জিতল টিম ইন্ডিয়া।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিলেন দুই ওপেনার- রোহিত শর্মা ও শুবমন গিল। রোহিত-গিল ওপেনিং পার্টনারশিপে ১০৬ রান যোগ করেন। কিন্তু স্যান্টনারের বলে গ্লেন ফিল্পিসের অবিশ্বাস্য ক্যাচে গিলের (৫০ বলে ৩১) আউটের পরই ম্যাচে নাটক শুরু হয়। গিলের ঠিক পরেই কিউই স্পিনার ব্রেসওয়েলের বলে এলবি হয়ে যান বিরাট কোহলি (১)।
তারপর রোহিত শর্মাও (৭৬) রচিন বরীন্দ্র বলে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে স্ট্যাম্প আউট হয়ে ফেরেন। বিনা উইকেটে ১০৫ থেকে ৩ উইকেটে ১২২ হয়ে গিয়ে মহাবিপদে পড়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। সেখান থেকে শ্রেয়স আইয়ার ও পাঁচে নামা অক্ষর প্যাটেল হাল ধরেন। কিন্তু শ্রেয়সের ব্যাটিং দেখে যখন পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল, তখনই স্যান্টনারের বলে কেকেআর-এর প্রাক্তন অধিনায়ক ব্যক্তিগত ৪৮ রানে আউট হয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে ব্রেসওয়েলের বলে অক্ষর প্যাটেল (৪০ বলে ২৯) ফিরতে ম্যাচ জমে যায়। ভারতকে তখনও জিততে হলে ৫১ বলে ৪৯ রান করতে হত, হাতে পাঁচ উইকেট। সেখান থেকে হার্দিককে নিয়ে ভাল ইনিংস খেলতে থাকেন রাহুল। জয়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১১ রান দূরে জেমিসনের বলে আউট হয়ে যান হার্দিক (১৮)। শেষ পর্যন্ত জাদেজা (৯ অপরাজিত)-কে নিয়ে দলকে কাপ জিতিয়ে ফেরেন রাহুল (৩৩ বলে ৩৪)।