ভারতীয় এ দলের হয়ে খেলতে গিয়ে ছিনতাইবাজদের খপ্পড়ে পড়তে হয়েছিল চেতেশ্বর পূজারাকে। কিছুদিন আগে পূজারার স্ত্রীর লেখা বই ‘দ্য ডায়েরি অফ আ ক্রিকেটার্স ওয়াইফ: অ্যান আনসামাল স্টোরি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে এ গল্প শেয়ার করেন রোহিত শর্মা। ১৩ বছর আগের সেই কাহিনী এখনও টাটকা ভারতের ওডিআই দলের ক্যাপ্টেনের মনে।
কী ঘটেছিল?
বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে, পূজারার উদ্দেশে রোহিত বলেন, 'আমি নিশ্চিত আমাদের ওই গল্পটা বইয়ে লেখা নেই। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভারতীয় ‘এ’ দলের সফর কী হয়েছিল, সেটা লেখা আছে?' জবাবে মৃদু হেসে পূজারা বলেন, 'আমি বলিনি গল্পটা। তবে ও (পুজারার স্ত্রী) জানে কিছু একটা হয়েছিল।'
পুরনো সেই স্মৃতি রোমন্থন করেন পূজারা। তিনিও বলেন, 'আমি নিরামিষ খাই। সেবার ত্রিনিদাদ-টোব্যাগোতে গিয়েও নিরামিশ খাবার খুঁজছিলাম। রাত ১১টা নাগাদ বেরিয়েছিলাম। কিন্তু অনেক খুঁজেও নিরামিষ খাবার পাইনি। উলটে ছিনতাইবাজদের খপ্পরে পড়েছিলাম। ঠিক কী হয়েছিল, সেটা অবশ্য বলব না। রোহিত বোধহয় ওই গল্পটার কথাই বলতে চাইছে।'
পূজারার কথা শুনেই রোহিত পালটা বলেন, 'গল্পের মূল সারাংশটা কী? সেটা হল, জেদ করা উচিত নয়। ওকে আমি বারণ করেছিলাম। বলেছিলাম, রাত ৯টার পর রাস্তায় বেরোস না। এটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ও সেই কথা শোনেনি।' সদ্য সব ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়া পূজারাকে ভারতের ওডিআই অধিনায়ক বোঝালেন, তাঁর কথা না শুনেই বিপদে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এই গল্প করতে করতেই দুই বন্ধু পৌছে গিয়েছিলেন একযুগ আগের সেই সময়।
সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর পূজারার
রবিবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সব ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার কথা জানান পূজারা। লেখেন, 'চেতেশ্বর পূজারা পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন, ভারতীয় জার্সি পরা, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া এবং মাঠে প্রতিবার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করা, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। কিন্তু তারা যেমন বলে, প্রতিটি ভাল জিনিসেরই শেষ হয়। আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ এবং সকল ফরম্যাট থেকে ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
পূজারার রেকর্ড
পূজারা ভারতের হয়ে ১০৩টি টেস্ট ম্যাচে ৪৩.৬০ গড়ে ৭১৯৫ রান করেছেন। এই সময়ে তিনি ১৯টি সেঞ্চুরি এবং ৩৫টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। ২০২৩ সালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের হয়ে পূজারা তাঁর শেষ ম্যাচ খেলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচে পূজারা ৪১ রান করেছিলেন।