Women World Cup 2029: ভারত জিততেই ২০২৯ মহিলা ক্রিকেট নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল ICC

এই সিদ্ধান্ত এসেছে ভারতের ঐতিহাসিক সাফল্যের পর। ২০২৫ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় আয়োজিত মহিলা বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ভারতীয় মহিলা দল। নবি মুম্বইয়ে সেই ফাইনাল ম্যাচ দেখেছিল কোটি কোটি মানুষ।

Advertisement
ভারত জিততেই ২০২৯ মহিলা ক্রিকেট নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল ICCভারত জিততেই ২০২৯ মহিলা ক্রিকেট নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল ICC

মহিলা ক্রিকেটে এক নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) ঘোষণা করেছে, আসন্ন ২০২৯ সালের মহিলা একদিনের বিশ্বকাপে (Women’s ODI World Cup) অংশ নেবে ১০টি দল। অর্থাৎ, আগের তুলনায় দুই দল বেশি খেলবে এই প্রতিযোগিতায়।

এই সিদ্ধান্ত এসেছে ভারতের ঐতিহাসিক সাফল্যের পর। ২০২৫ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় আয়োজিত মহিলা বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ভারতীয় মহিলা দল। নবি মুম্বইয়ে সেই ফাইনাল ম্যাচ দেখেছিল কোটি কোটি মানুষ।

২০২৫ সালের বিশ্বকাপে প্রায় তিন লক্ষ দর্শক সরাসরি মাঠে বসে ম্যাচ উপভোগ করেন। যা মহিলা ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বাধিক দর্শকসংখ্যার রেকর্ড। শুধু তাই নয়, ভারতে একাই প্রায় ৫০ কোটিরও বেশি দর্শক টিভি ও ডিজিটাল মাধ্যমে বিশ্বকাপ দেখেছিলেন। ফাইনাল ম্যাচে ২.১ কোটি মানুষ লাইভ সম্প্রচার দেখেন, এবং ৯.২ কোটিরও বেশি দর্শক পরবর্তীতে রিপ্লে বা টিভি সম্প্রচারে ফাইনাল দেখেছেন। আইসিসির দাবি, এই জনপ্রিয়তা প্রমাণ করছে, মহিলা ক্রিকেট এখন সত্যিই বিশ্বব্যাপী উত্থানের পথে।

আইসিসি বোর্ডের মতে, ১০ দলের এই নতুন ফরম্যাট মহিলা ক্রিকেটকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে। উদীয়মান ক্রিকেট দেশগুলির জন্যও খুলে যাবে বড় মঞ্চে নিজেদের প্রমাণের সুযোগ। একই সঙ্গে বোর্ড জানিয়েছে, ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকেও থাকবে পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটের টি-২০ ফরম্যাট।প্রতিটি বিভাগে থাকবে ৬টি দল, মোট ২৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

আইসিসির মহিলা ক্রিকেট কমিটিতেও যুক্ত হয়েছেন দুই ভারতীয় কিংবদন্তি, মিতালি রাজ ও অমল মুজুমদার। এই দুই প্রাক্তন তারকার যোগদানে মহিলা ক্রিকেট প্রশাসনে ভারতীয় উপস্থিতি আরও দৃঢ় হলো।

আইসিসির এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “২০২৫ বিশ্বকাপ আমাদের দেখিয়েছে, মহিলা ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। এখন সময় এসেছে আরও দেশকে যুক্ত করে এই খেলার বিস্তার ঘটানোর।” ২০২৯ বিশ্বকাপের এই সম্প্রসারণে নতুন দলগুলিও বিশ্বমঞ্চে নিজেদের প্রতিভা প্রদর্শনের সুযোগ পাবে। ফলে আরও চমক, আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং আরও বিনিয়োগের সম্ভাবনা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। বোর্ডের এক মুখপাত্র জানান, “২০২৫ সালের ভারতের জয় মহিলা ক্রিকেটের জন্য এক মোড় ঘোরানো অধ্যায় ছিল। এখন আইসিসির এই পদক্ষেপ সেই সাফল্যেরই ধারাবাহিকতা।”

 

POST A COMMENT
Advertisement