বদলে ফেলা হল ওয়াংখেড়ের পিচ। এমনই অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে BCCI নাকি শেষ মুহূর্তে সেমিফাইনালের জন্য পিচ বদলে দিয়েছে। এমন আবার হয় নাকি? ব্যাপারটা আসলে কী?
সেমিফাইনালের জন্য ৭ নম্বর পিচটা বেছে নেওয়া হয়েছিল ICC-র পক্ষ থেকে। ICC চেয়েছে এমন উইকেটে এই ম্যাচ খেলাতে যা এই বিশ্বকাপে আগে ব্যবহার করা হয়নি। সেই হিসেবে এই পিচকে বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন নাকি ৭ নম্বরের বদলে খেলা হবে ৬ নম্বর পিচে। এটা নাকি ICC-কে জানিয়েছে BCCI। ৭ নম্বর পিচে এর আগে খেলা হয়েছে ইংল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। এই পিচে পেসাররা সুবিধা পেয়েছেন। অন্যদিকে ৬ নম্বর পিচে স্পিনাররা সুবিধা পেয়েছেন। অভিযোগ, BCCI নিউ জিল্যান্ডের পেসারদের আটকাতেই নাকি এই পিচ পরিবর্তন করছে। যাতে স্পিন দিয়ে আটকানো যেতে পারে বিপক্ষকে।
আরও বলা হয়েছে যে ৭ নম্বর পিচে ঘাস ছিল। ৬ নম্বর পিচ মন্থর। যেখান থেকে স্পিনাররা সুবিধা পেতে পারেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ICC-কে পিচ বদলের কথাটা জানানো হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। কেন শেষ মুহূর্তে পিচ বদল তা অবশ্য জানানো হয়নি। তবে এই পিচ বদলের অভিযোগ এই প্রথমবার উঠছে। যদিও পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার হাসান রাজা দাবি করেছিলেন ভারতকে বিশেষ বল দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আয়জক হিসেবে ভারতের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ এই প্রথম। এই বিষয় নিয়ে BCCI বা ICC-র পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলও এই বিষয়ে মুখ খোলেনি। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কোন পিছে খেলা হয় এই ম্যাচ?
এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে বিসিসিআই বা আইসিসি এই ব্যাপারে মুখ খোলেনি। ফলে পিচ বিতর্ক নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছে।
ভারতের সম্ভাব্য প্লেয়িং ১১: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, মহম্মদ শামি, কুলদীপ যাদব, জাসপ্রিত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ।
নিউজিল্যান্ডের সম্ভাব্য প্লেয়িং ১১: ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ড্যারিল মিচেল, গ্লেন ফিলিপস, টম ল্যাথাম (উইকেটরক্ষক), মার্ক চ্যাপম্যান, মিচেল স্যান্টনার, টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসন।