scorecardresearch
 

ICC World Cup 2023 India VS Pakistan: দেবীপক্ষে পাকিস্তান বধ ভারতের, বিশ্বকাপে হারের খরা কাটল না বাবরদের

ICC World Cup 2023 India Vs Pakistan: বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারত পাকিস্তানকে ৮টা ম্যাচে পরাস্ত করল। এই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে লজ্জাজনকভাবে পরাস্ত করল রোহিত শর্মা ব্রিগেড। ১৯৯২, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০১১, ২০১৫, ২০১৯ সালের পর এবার ২০২৩। সময় বদলালেও পরিবর্তন হয় ফল একই থাকে। মাত্র ৩০.৩ ওভারে ম্যাচ শেষ করে দিল ভারত।

Advertisement
সৌজন্যে : জয় শাহ Twitter সৌজন্যে : জয় শাহ Twitter
হাইলাইটস
  • দাপুটে জয়ের পরও ৩ বদল?
  • পাকিস্তান ম্যাচে ভারতের একাদশ
  • কেমন হবে দেখে নিন সম্ভাবনা

ICC World Cup 2023 India Vs Pakistan: অভিশাপ এবারও কাটল না। ওয়ানডে ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের মধ্যে জয় পরাজয়ের রেকর্ড ৭-০ থেকে ভারতের পক্ষে বেড়ে ৮-০ তে দাঁড়াল। এক সময়ে ভারতের চেয়ে শক্তিশালী দল থাকা সত্ত্বেও বিশ্বকাপের গেরো কাটাতে পারেনি ওয়াঘা সীমান্তপারের বাসিন্দারা। আর এখন তো ধারে-ভারে কিছুতেই ভারতীয় ব্যাটিং-বোলিংয়ের সমকক্ষ বলে ধরা হয় না তাঁদের। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। গুজরাটের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে পাকিস্তান দলকে ১৯ ওভার বাকি থাকতে সাত উইকেটের বিশাল ব্যবধানে দুরমুশ করে দিল ভারত। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা এবং শ্রেয়াস আইয়ারের জোড়া অর্ধশতরানে কোনওরকম ভুলচক হয়নি।

বিশ্বকাপে ভারত বনাম পাকিস্তান স্কোর ৮-০

বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারত পাকিস্তানকে ৮টা ম্যাচে পরাস্ত করল। এই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে লজ্জাজনকভাবে পরাস্ত করল রোহিত শর্মা ব্রিগেড। ১৯৯২, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০১১, ২০১৫, ২০১৯ সালের পর এবার ২০২৩। সময় বদলালেও পরিবর্তন হয় ফল একই থাকে। মাত্র ৩০.৩ ওভারে ম্যাচ শেষ করে দিল ভারত।

টস জিতে প্রথম বোলিং নেন রোহিত। তবে পাকিস্তান শুরুটা ভালই হয়েছিল। ১৫৫ রান পর্যন্ত মাত্র ২ উইকেট ছিল তাঁদের। কমেন্ট্রি বক্সে আলোচন চলছিল, ৩০০ রান সেফ টার্গেট হবে? না কি ৩৫০ করে রাখার চেষ্টা করা ভাল হবে পাকিস্তানের পক্ষে। কারণ আগের ম্যাচে পাকিস্তানই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩৫০ রান চেজ করে জয় হাসিল করে। মহম্মদ রিজওয়ান দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে ম্যাচের নায়ক ছিলেন। কিন্তু এরপরই চমক। বাবর আজম ব্যাক্তিগত পঞ্চাশ রান করার পর মহম্মদ সিরাজের স্লোয়ারে বোল্ড হয়ে যান। আর সেই সঙ্গে পাকিস্তান ব্যাটাররা যেন ভূত দেখার মতো চমকে গিয়ে একের পর এক উইকেট হারান। জসপ্রীত বুমরা, কুলদীপ যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজারা সুযোগ বুঝে ঝাঁপিয়ে পরে পাক ব্যাটারদের লেজ মুড়িয়ে দিতে কোনও ভুল চুক করেননি। ভারতের ৫ বোলারই ২টি করে উইকেট নেন। একমাত্র ব্যর্থ শার্দুল ঠাকুর। তাঁর বদলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে খেলালে আরও ৩০-৪০ রান কম করত কি না পাকিস্তান, তা নিয়ে আলোচনা চলুক। আপাতত গোটা দেশ মজে বিরাট জয়ে। মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।

প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান দল করে। ১৯১ রান। ৪২.৫ ওভারে এই রান করে তারা। ভারতের আগে তারা প্রস্তুতি শুরু করেছিল এই ম্যাচের জন্য। স্পিনে অতিরিক্ত সময়ও দিয়েছিল। কিন্তু সেগুলো যে কাজে লাগল না তার প্রমাণ মিলল। পাকিস্তানের ১১ জনের মধ্যে পাঁচজন মাত্র দুই অঙ্কের রানে যেতে পারল। বাবর আজম করলেন ৫০ রান ও রিজওয়ান করলেন ৪৯ রান। ওপেনার শফিক ও ইমাম উল হক করেন যথাক্রমে ২০ ও ৩৬ রান। এদের বাইরে পাকিস্তানের সকলেই ৪, ৫ বা ৬ রানে ফেরে। ফলে ৪২.৫ ওভারে তারা ১৯১ রানে গুটিয়ে যায়।

রান তাড়া করতে নেমে রোহিত শর্মা নিজের মনের ইচ্ছেমতো পেটানো শুরু করেন পাক বোলারদের। ফলে ভারতীয় ইনিংসের ৫-৬ ওভারের মধ্যেই ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় পাকিস্তান। এর মধ্যে ডেঙ্গি সারিয়ে ফেরা শুভমান গিল ভাল শুরু করেও পয়েন্টে শাহিন আফ্রিদির বলে ক্যাচ দিয়ে বসেন। রোহিত এদিন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্য়াচে যেখান থেকে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই শুরু করেন। গিলকে নিয়ে ওপেন করতে নেমে তিনি এটাই শেষ পর্যন্ত দলকে টানেন। তবে ফিনিশ করতে পারেননি। ৬৩ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ডেঙ্গি সারিয়ে মাঠে নামা গিল করেন ১৬ রান। তাঁর এই কামব্যাক প্রশংসনীয়। তবে পাকিস্তানের ত্রাস বিরাট কোহলি ১৬ রান করেন। হাসান আলির বলে তিনি নওয়াজের হাতে ক্যাচ তুলে আউট হন। এরপর নামেন শ্রেয়স আইয়ার। তিনি ও রোহিত করেন ৭৭ রানের পার্টনারশিপ। রোহিত আউট হওয়ার পর কেএল রাহুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে জেতান শ্রেয়স। তিনি হাফসেঞ্চুরি করেন। ব্যাটিং পিচেও ম্যাচে দুর্দান্ত কামব্যাক স্পেল করার সুবাদে ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় জসপ্রীত বুমরাকে।

এদিনের দুই দলের প্রথম একাদশ

আরও পড়ুন

Advertisement

ভারতীয় দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর, জাসপ্রীত বুমরা, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ।

পাকিস্তান: আবদুল্লাহ শফিক, ইমাম-উল-হক, বাবর আজম (সি), মহম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), সৌদ শাকিল, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, মহম্মদ নওয়াজ, শাহীন আফ্রিদি, হাসান আলী/মহম্মদ ওয়াসিম, হারিস রউফ।

 

Advertisement