অ্যাডিলেড টেস্টে প্রথম দিনের শেষে বেশ চাপে। দিন-রাতের টেস্টে মাত্র ১৮০ রানে অল আউট হওয়ার পর ভারতীয় দল পারথ টেস্টের মতো ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ। তবে কেন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলিং লাইনআপ? আসলে, জসপ্রীত বুমরা সেভাবে সাহায্য পাচ্ছেন না মহম্মদ সিরাজ ও হর্ষিত রানাদের কাছ থেকে।
বোলিং-এ জুটি গড়তে পারেনি ভারত
ব্যাটিং-এর মতো বোলিং-এর ক্ষেত্রেও ভাল পার্টনারশিপ খুব জরুরী। বুমরাকে সিরাজ, রানারা সেভাবে সাপোর্টই দিতে পারলেন না। বুমরাহ ১ উইকেট শুরুতে তুলে নিয়েছিলেন। তবে সাপোর্ট না পাওয়ায় তাঁর বলও নির্বিষ বলে মনে হচ্ছে।
রোহিতের ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে প্রশ্ন
রোহিত শর্মার অধিনায়কত্ব নিয়েও এই টেস্টে প্রশ্ন রয়েছে। প্রথমত বুমরাহকে দিয়ে তিনি অতিরিক্ত বোলিং করিয়ে গেলেন, ৩৩ ওভারের মধ্যে করালেন ১১ ওভার। যদি বুমরাহর ওয়ার্ক লোডের কারণে চোট হয়, তাহলে কি হবে সেটা ভাবলেন না। বোলিং চেঞ্জের ক্ষেত্রেও সঠিক নির্বাচন দেখা গেল না। বোলাররা যখন বাইরে বোলিং করলেন, তখনও অধিনায়ককে সেভাবে নির্দেশ দিতে দেখা গেল না।
অশ্বিনকে ঠিকভাবে ব্যবহার করা হল না
রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে খেলানো না হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে নামানো হয়েছিল। আশা করা হয়েছিল, তিনি ফুল ফোটাবেন। হয়ত প্রথম দিনে না হলেও, গোলাপি বলে তিনি দিন দুয়েকের পর সফল হবেন বলেই আশা করেছিলেন অনেকে। যদিও রোহিত শর্মা, তাই বলে যে অশ্বিনকে প্রথম দিনে মাত্র ১ ওভার বোলিং দেবেন সেটা বোঝা যায়নি। ৩২তম ওভারে গিয়ে দলের অন্যতম অভিজ্ঞতম বোলার অশ্বিনকে ১ ওভার বোলিং দেন রোহিত শর্মা।
বুমরাকে দিয়ে অতিরিক্ত বল করানো
জসপ্রীত বুমরাহ এদিনের ভারতের ৩৩ ওভারের মধ্যে করলেন ১১ ওভার। তবে যে বুমরাহকে অন্য সময় দেখতে পাওয়া যায় তেমন বুমরাহকে এই ম্যাচে দেখা গেল না। শুরুর দিকে উইকেট টু উইকেট বল করলেও, ক্রমেই অফ স্টাম্পের বাইরে বল রাখতে থাকলেন। বাকিরাও সেই রাস্তা নিতে গিয়ে উসমান খোয়াজা বাদে আর কারোর উইকেট পড়ল না। বুমরাহও তেমন সাপোর্ট পেলেন না রানা, সিরাজদের থেকে। পার্থ টেস্টে ভারতীয় দলের সুবিধা হয়েছিল বুমরাহ যখন একদিক থেকে উইকেট পাচ্ছিলেন, তখন আরেক দিক থেকে চাপ রাখছিলেন সিরাজ, রানারা।