স্যাম কনস্ট্যাস পেরেছিলেন। ভারতীয় দলের পরিকল্পনার অভাবে ৬০ রানের ইনিংস খেলে ফেললেও, ঋষভ পান্ত তা পারলেন না। প্যাট কামিন্সদের প্ল্যানিং-এ র্যাম্প শট খেলতে গিয়ে উইকেট হারালেন টিম ইন্ডিয়ার উইকেট কিপার ব্যাটার। প্রথমবার এই শট খেলতে গিয়ে পেটে বল লাগে। পরের বলেই একই শট খেলতে গিয়ে আউট হন তিনি।
কীভাবে আউট হলেন পান্ত?
স্কুপ-স্লগ সুইপ মেশানো পান্তের সিগনেচার শট খেলতে গিয়ে বল সোজা পেটে লাগে পান্তের। পরের বলে স্কট বোল্যান্ড লেন্থ আরও একটু উপরে করেন। ব্যাটে ঠিকঠাক লাগে বল যাওয়ার কথা স্কোয়ারলেগের দিকে। যদিও মিস হিট, টপ এজ লেগে থার্টম্যান বা বলা ভালো ফ্লাইং স্লিপে নাথান লিয়ঁর কাছে ললিপপ ক্যাচ। ঋষভ পান্ত শুধু ক্রিকেটার নন। বিনোদনের মশলাও। টেস্ট ক্রিকেট যে মহূর্তে মনে হবে একঘেয়ে লাগছে, একটা ফ্যান্সি শট খেলে পরিস্থিতি বদলে দিতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে দলের পরিস্থিতির কথাও ভাবা উচিত ছিল তাঁর।
ভারতীয় দলের অবস্থা খুব ভাল জায়গায় না থাকলেও, পান্ত নিজের ইনিংসের গিয়ার বদল করেননি। অজি ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্সকে লং অন বাউন্ডারিতে একটি ছয়ও মারেন পান্ত। রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে রানিং বিটউইন দ্য উইকেটও দুর্দান্ত। মনে হচ্ছিল, প্রথম সেশনেই অস্ট্রেলিয়া বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে রাখবে এই জুটি। কিন্তু নিজেই উইকেট উপহার দিয়ে আসেন ঋষভ পান্ত।
জাডেজা-পান্ত জুটি যে ভাবে ব্যাট করছিলেন, সহজেই সিঙ্গল-ডাবল আসছিল। অজি শিবির ক্রমশ অস্বস্তিতে পড়তে থাকে। প্রথম ঘণ্টায় যা খুবই প্রয়োজন। বলা যায়, বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং। যা দীর্ঘস্থায়ী হলে দলেরই লাভ হত। রান রেট ছিল ৪-এর আশে পাশে। টেস্ট ক্রিকেটে যা দুর্দান্ত। কিন্তু ফ্যান্সি হতে গিয়েই সমস্যা। ২৮ রানেই ইতি পান্তের ইনিংস।