বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ভারতের এক দশকের আধিপত্য থমকে গেল ভারতের। অস্ট্রেলিয়া ৫ জানুয়ারি রবিবার জসপ্রিত বুমরাহ দলকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ৩-১ এ সিরিজ জিতল। সিডনিতে শেষ টেস্ট ম্যাচের ৩য় দিনে ভারত অস্ট্রেলিয়ানদের মাত্র ১৬২ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয়। যা ৪ উইকেট হারিয়ে তুলে নেয়।
অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সের বিপরীতে জসপ্রিত বুমরাহর দুর্দান্ত সফর শেষ করেছেন। তিনি অবশ্য তৃতীয় দিনে মাঠে নামতে পারেননি। স্ট্যান্ড-ইন ক্যাপ্টেন আগের দিন পিঠের খিঁচুনির কারণে অ্যাকশন থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। এবং ম্যাচের শেষ ইনিংসেও মাঠে নামতে পারেননি।
ভারত প্রথমবার WTC ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে
বুমরাহের অনুপস্থিতিতে ভারতের বোলিং ইউনিটকে ছন্নছাড়া লেগেছে। স্কট বোল্যান্ড এবং প্যাট কামিন্স টেস্টে যেভাবে কাজ করেছিলেন, বুমরাহীন ভারতীয় দল তা করতে পারেনি।
২য় দিনে ফর্মে ফেরার আভাস দিলেও ম্যাচের শেষ দিনে মহম্মদ সিরাজ এবং প্রসিধ কৃষ্ণা দাগ কাটতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়া নতুন বছরের উপহার দুহাতে গ্রহণ করে অস্ট্রেলিয়া ৬ ওভারেই মা্র ১ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান তুলে নেয়।, যা যে কোনও দল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও করতে পারে না। প্রসিধ কৃষ্ণার ৩ ওভারের ব্লকের সময় ভারত একটা যে চাপ তৈরি করতে সক্ষম হয় এবং, লাঞ্চের ঠিক আগে মার্নাস লাবুশানে এবং স্টিভ স্মিথের উইকেট তুলে নেন। মধ্যাহ্নভোজের পরে ট্রাভিস হেড এবং উসমান খোয়াজা ফের তেড়ে খেলেন এবং ভারতের আশায় জল ঢেলে দেন। খাজা আউট হলেও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ জিততে কোনও অসুবিধা হয়নি।
ভারত ১০ বছর পর BGT হারাল
২০১৪/১৫ সালে তৎকালীন অধিনায়ক এমএস ধোনি সিরিজের মাঝপথে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। সেটাই ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত হেরে যাওয়া শেষ সিরিজ। এরপর বিরাট কোহলি এবং আজিঙ্কা রাহানের নেতৃত্বে ভারত গত ১০ বছরে প্রতিযোগিতায় আধিপত্য বিস্তার করেছিল, হোম এবং অ্যাওয়ে উভয়ই সিরিজ জিতেছিল।
ভারতীয় ব্যাটিং ইউনিট দলের পতনের কারণ
ভারতের সিরিজ হারের মূল কারণ ছিল তাদের শোচনীয় ব্যাটিং পারফরম্যান্স। ভারত যে ১০টি ইনিংসে ব্যাট করেছিল - তার মধ্যে ৬টিতেই ২০০ রানের কম স্কোর দেখা গিয়েছিল৷ মাত্র ৩ বার ভারত ২০০ রানের বাধা ভাঙতে পেরেছিল - একবার পার্থে তাদের জয়ী টেস্টে (৪৮৭/৬), এবং প্রতিটিতে একবার মেলবোর্নে (৩৬৯) এবং ব্রিসবেনে (২৬০)।
এর ফলে বোলিং ইউনিটের উপর অবিশ্বাস্য চাপ পড়ে, যারা তাদের ওভারের মধ্যে পর্যাপ্ত বিশ্রামও পায়নি। সিরিজে মাত্র দুবার ভারত এক ইনিংসে ১০০ ওভারের বেশি ব্যাট করেছে। তারা বেশিরভাগই ৩৫-৭৮ ওভারের মধ্যে ঘোরাঘুরি করেছিল, যার ফলে ভারতীয় বোলিং লাইন আপে প্রচুর চাপ পড়ে।