ম্যাচটা বড় ব্যবধানে জিততে হত। টসে হেরে সেই সম্ভাবনাও নিভে যায়। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় পাকিস্তানের। বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে ইডেন গার্ডেনসে বাবর আজমদের সামনে বিরাট টার্গেট দিয়েছিল ইংল্যান্ড। বড় ব্যবধানে জয় তো হলই না উল্টে ৩৩৭ রান তাড়া করতে গিয়ে হেরেই বসল পাকিস্তান।
শুরু থেকেই পাক ক্রিকেটাররা বুঝে গিয়েছিলেন এটাই এবারের বিশ্বকাপে তাঁদের শেষ ম্যাচ। ফলে শাহিন শাহ আফ্রিদি ছাড়া কেউই সেভাবে ছন্দে ছিলেন না। বাবর আজম আবার দ্বিতীয় ওভারেই নিয়ে আসেন হ্যারিস রাউফকে। তাতে যদিও লাভ হয়নি। প্রচুর রান খেয়েছেন এই ডান হাতি পেসার। পরের দিকে যদিও ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবে ততক্ষণে ইংল্যান্ডের রান চলে গিয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ৮২ রানে ডেভিড মালানের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। যদিও সেটা স্পিনার ইফতিকারের বলে। হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হন জনি বেয়ারস্টো। দলের রান তখন ১০৮।
জো রুট ৭২ বলে ৬০, বেন স্টোকস ৭৬ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডের রান এগিয়ে নিয়ে যান। জস বাটলার ১৮ বলে ২৭ রান করে রান আউট না হলে রান আরও বাড়তে পারত। ১৭ বলে ৩০ রানের ক্যামিও খেলেন হ্যারি ব্রুক। এদিন রান পাননি ডেভিড উইলি। শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফেরেন ৫ বলে ১৫ রান করে। বোলারদের মধ্যে সফল শাহীন। দুই উইকেট নিয়েছেন তিনি। ১০ ওভারে দিয়েছেন ৭২ রান। মহম্মদ ওয়াসিম ১০ ওভারে ৭৪ রানে ২ উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৪৪ রানেই শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস। শুরুতে আব্দুলাহ সাফিক আউট হওয়ার পর ফকর জামানও দ্রুত আউট হন। এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালান বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ান। ৩৮ রান করে আউট হন বাবর। এরপর আগা সলমন ছাড়া কেউই সফল হননি। ৪৫ বলে ৫১ রান করে তিনি আউট হতেই সমস্ত আশা শেষ হয়ে যায়। ২৪৪ রানে সব উইকেট হারায় পাকিস্তান।
পাকিস্তান (প্লেয়িং ইলেভেন): আবদুল্লাহ শফিক, ফখর জামান, বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ান, সৌদ শাকিল, ইফতিখার আহমেদ, আগা সালমান, শাদাব খান, শাহীন আফ্রিদি, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, হারিস রউফ
ইংল্যান্ড (প্লেয়িং ইলেভেন): জনি বেয়ারস্টো, ডেভিড মালান, জো রুট, বেন স্টোকস, হ্যারি ব্রুক, জস বাটলার (ডব্লিউ/সি), মঈন আলী, ক্রিস ওকস, ডেভিড উইলি, গাস অ্যাটকিনসন, আদিল রশিদ