প্রত্যাশা মতোই বিসিসিআই-এর (BCCI) সভাপতি হতে চলেছেন মিঠুন মানহাস (Mithun Manhas)। ক্রিকেটার হলেও ভারতীয় দলের (Team India) হয়ে একটাও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি মিঠুন। এমন একজনকেই এবার বিসিসিআই-এর সভাপতি পদে বসানো হচ্ছে। শোনা যাচ্ছিল, বিসিসিআই-এর বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিয়ে নিজেদের সভাপতি হওয়ার জোরাল দাবি জানাতে পারেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) ও হরভজন সিং (Harbhajan Singh)। তবে তা হয়নি।
জম্মু কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রশাসক ছিলেন
বর্তমানে তিনি জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (JKCA) প্রশাসক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বগুণ এবং ক্রিকেট প্রশাসনে দক্ষতার ভিত্তিতে তাঁকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদটির জন্য সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি নিঃসন্দেহে ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে এক যুগান্তকারী মুহূর্ত, কারণ মানহাস হতে পারেন প্রথম 'আনক্যাপড' ক্রিকেটার, যিনি BCCI-র সভাপতি পদে নির্বাচিত হবেন। মিঠুনের পাশাপাশি দেবজিত সাইকিয়া সামলাবেন সচিবের দায়িত্ব। আর রাজীব শুক্লা থাকবেন সহ সভাপতি হিসেবে।
মনোনয়ন দেয়নি আর কেউ
২১ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ হলেও, মিঠুন ছাড়া কেউই সভাপতি পদে মনোনয়ন না দেওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মানহাসের পরিচয় শুধু একজন ক্রিকেটার হিসেবে নয়, বরং একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবেও। তিনি জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (JKCA) সঙ্গে প্রশাসনিক দায়িত্বে যুক্ত ছিলেন এবং BCCI-এর AGM-এ রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাঁর এই দ্বৈত অভিজ্ঞতা— ক্রিকেট মাঠে এবং প্রশাসনিক পরিসরে, যা তাঁকে একজন আদর্শ প্রার্থী করে তুলেছে। এ ছাড়াও তিনি দলীপ ট্রফির জন্য নর্থ জোনের কনভেনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট টাইটান্সের সাপোর্ট স্টাফ হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ রেকর্ড
মিঠুন মানহাস ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিচিত নাম। যদিও তিনি ভারতের জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাননি, তবুও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়— ১৫৭ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ৯,৭১৪ রান। আইপিএলে তিনি দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, পুনে ওয়ারিয়র্স এবং চেন্নাই সুপার কিংসের মতো জনপ্রিয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।