আর্থিক তছরুপের অভিযোগে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক মহম্মদ আজাহারউদ্দিনকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বৃহস্পতিবার এই সমন পাঠানো হয় তাঁকে। আগে হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থায় সভাপতি ছিলেন আজহারউদ্দিন। সেই সময় তিনি আর্থিক দুর্নীতি করেছিলেন বলে অভিযোগ।
প্রায় ২০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে আজহারউদ্দিনের বিরুদ্ধে। হায়দরাবাদে রাজীব গান্ধী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জন্য ডিজেল জেনারেটর, ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম এবং ছাতা কেনার জন্য বরাদ্দকৃত ২০ কোটি টাকার অপব্যবহার করা হয়। সেই দুর্নীতির অভিযোগে তলব করা হয়েছে আজাহারকে।
এই মামলায় গত বছর ইডি প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA) ২০০২-এর অধীনে তেলাঙ্গানার ৯ জায়গায় অভিযান চালায়। এর মধ্যে প্রাক্তন এইচসিএ আধিকারিক গদ্দাম বিনোদ, শিবলাল যাদব এবং আরশাদ আইয়ুবের বাড়িও ছিল। এই অভিযানে ইডি-র হাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি আসে।
তথ্য অনুসারে, তিনটি FIR-এর উপর ভিত্তি করে এই তদন্ত শুরু করেন ইডি আধিকারিকরা। কেনা-বেচা সংক্রান্ত দুর্নীতি, কাজে বিলম্ব ইত্যাদির নানা অভিযোগ রয়েছে। চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে যে এইচসিএ আধিকারিকরা প্রাইভেট দলগুলির সঙ্গে যোগসাজশ করে মোটা অঙ্কের টাকার দরপত্র বরাদ্দ করেছিলেন।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতির পদ থেকে আজহারউদ্দিনকে সরিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার পর ক্রিকেট প্রশাসন থেকে সরে এসে আবার রাজনীতির ময়দানে নেমেছিলেন আজহার। তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম বার লড়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্বাচনে কংগ্রেস জিতলেও তিনি বাজিমাত করতে পারেননি।পর পর দু’টি লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন আজহার। প্রথম বার ২০০৯ সালে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ আসনে। দ্বিতীয় বার ২০১৪ সালে রাজস্থানের টঙ্ক-সওয়াই মাধোপুর আসনে।