Mohammed Shami Weight Loss: বিরিয়ানি খেয়েও ৯০ কেজি থেকে এক ধাক্কায় ফিট? শামির সিক্রেট ফাঁস

Mohammed Shami Weight Loss: গোড়ালিতে চোট। অপারেশন। দীর্ঘদিন ছোটাছুটি করতে পারেননি মহম্মদ শামি। ছিলেন সম্পূর্ণ বিশ্রামে। ওজন বাড়তে বাড়তে ৯০ কেজি। সেই ওজন কীভাবে ঝড়ালেন? সম্প্রতি স্টার স্পোর্টসে নভজ্যোত সিং সিধুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে 'সিক্রেট'টা জানালেন তারকা বোলার।

Advertisement
বিরিয়ানি খেয়েও ৯০ কেজি থেকে এক ধাক্কায় ফিট? শামির সিক্রেট ফাঁসচ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শামি ভারতের অন্যতম সেরা বোলার।

Mohammed Shami Weight Loss: গোড়ালিতে চোট। অপারেশন। দীর্ঘদিন ছোটাছুটি করতে পারেননি মহম্মদ শামি। ছিলেন সম্পূর্ণ বিশ্রামে। আর এই বিশ্রামের ফলেই ওজন বাড়তে বাড়তে ৯০ কেজি। সেই বাড়তি মেদ কীভাবে ঝড়ালেন? সম্প্রতি স্টার স্পোর্টসে নভজ্যোত সিং সিধুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে 'সিক্রেট'টা জানালেন তারকা বোলার।

'৩৪ বছর বয়সে এসেও কীভাবে ম্যাচ ফিট থাকেন?' শামির কাছে জানতে চান সিধু। উত্তরে শামি বলেন, '২০১৫ সালের পর থেকে আমি দিনে মাত্র একবার খাই। শুধুমাত্র রাতে ডিনার করি। সকালে কোনও জলখাবার বা দুপুরেও কিছু খাই না। প্রথম প্রথম ব্যাপারটা বেশ কঠিন ছিল। তবে অভ্যাস হয়ে যাওয়ার পর এখন খুব সহজই লাগে।'

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের তুরুপের তাস মহম্মদ শামি। ভালই ফর্মে আছেন। বাংলাদেশ ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। ভারতীয় হিসাবে ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম ২০০ উইকেটের রেকর্ড গড়েছেন শামি।

অথচ, বছরখানেক আগেই বেশ কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন। সেই চোট সারিয়ে উঠতে ১৪ মাস সময় লেগেছিল।পুরো সময়টা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন। সার্জারি এবং বাঁ হাঁটুর ফোলার কারণে তাঁর সুস্থ হতে আরও সময় লেগেছিল।

এদিকে যে কোনও সার্জারি, চোটের সময় সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হয় ক্রীড়াবিদদের। সঠিক খাওয়াদাওয়াও করতে হয়। মহম্মদ শামি জানালেন, এই সময়টাই তাঁর ওজন বেড়ে গিয়েছিল। তাঁর ওজন প্রায় ৯০ কেজি হয়ে গিয়েছিল। তবে কঠোর পরিশ্রম ও কঠিন ডায়েটের মাধ্যমেই দ্রুত সেই বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলেন শামি। ৯ কেজি ওজন ঝরিয়ে মাঠে ফেরেন।

শামি বলেন, 'রিকভারি ফেজটা খুব কঠিন ছিল। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (NCA) থাকাকালীন কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছিল। ওজন কমাতেই হবে, নিজেই নিজেকে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম।'

মহম্মদ শামি আরও বলেন, 'আমি কোনওদিনই খুব একটা খাদ্যরসিক ছিলাম না। মিষ্টি-র থেকে দূরে থাকি। এমন অনেক খাবার এড়িয়ে চলি, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। তবে মাঝে মাঝে বিরিয়ানিটা খেয়ে নিই।' সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আর সেখানে মহম্মদ শামিই যে ভারতের বড় ভরসা, তা বলাই বাহুল্য।

বিঃ দ্রঃ- পেশাদার অ্যাথলিট বা সেলেব্রিটিদের ফিটনেস রুটিন বা ডায়েট হঠাৎ করে ফলো না করাই শ্রেয়। তাঁরা বিশেষ যত্ন ও বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে থাকেন। সবার শরীর সমান নয়। সার্টিফায়েড ফিটনেস বিশেষজ্ঞ এবং নিউট্রিশনিস্টের পরামর্শ মেনে চলুন। 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement