মুস্তাফিজুর রহমান আদৌ IPL খেলবেন তো? এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট মহলে। কারণ, একদিকে দিল্লি ক্যাপিটালস তাকে দলে নিয়েছে, অন্যদিকে তিনি জাতীয় দলের হয়ে খেলতে যাচ্ছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। তার মাঝেই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েনে পড়ে গেছে গোটা ব্যাপারটা।
১৪ মে দুবাই উড়ে গেছেন মুস্তাফিজ, যেখানে তিনি খেলবেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে। অথচ, একই সময় দিল্লি ক্যাপিটালস তাকে দলে টেনেছে IPL-এর বাকি ম্যাচগুলির জন্য। এখন প্রশ্ন, তিনি কি আদৌ খেলতে পারবেন IPL?
BCB-র দোটানা: মুস্তাফিজকে NOC দিলে, বাকিদেরও দিতে হবে?
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (BCB) এখন দ্বিধায়। তারা মুস্তাফিজকে আইপিএলে খেলার জন্য ছাড়পত্র (NOC) দিলে, তখন প্রশ্ন উঠবে আরও দুজন ক্রিকেটারকে নিয়েও—রিশাদ হোসেন এবং নাহিদ রানা। তারা দু’জনেই পাকিস্তান সুপার লিগ (PSL)-এ অংশ নিয়েছিলেন, আবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সফরের দলেও আছেন। বিসিবির চিন্তা—মুস্তাফিজকে ছাড়লে বাকি দু’জনও দাবী করতে পারেন PSL খেলার সুযোগ। একজন বিসিবি কর্তা ক্রিকবাজকে বলেছেন, 'আমরা বলছি না যে মুস্তাফিজকে আইপিএল খেলতে দেব না, কিন্তু জাতীয় দলের দায়িত্ব আগে। তাকে যদি ছুটি দিই, তাহলে বাকি দুজন কী বলবে?'
কূটনৈতিক চাপে বিসিবি
ভারত-পাকিস্তানের সীমান্ত উত্তেজনার পর BCB বুঝে-শুনে পদক্ষেপ নিতে চাইছে। কারণ, একদিকে ভারতীয় বোর্ড BCCI, আরেকদিকে পাকিস্তান বোর্ড PCB—এই দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কের রসায়ন নষ্ট করতে চায় না বিসিবি। তারা চায় না যে, কোনও পক্ষই আঙুল তুলুক বাংলাদেশের দিকে।
মুস্তাফিজ কবে খেলতে পারবেন IPL-এ?
সব ঠিক থাকলে মুস্তাফিজ ১৮ মে দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম গুজরাত টাইটান্স ম্যাচে অংশ নিতে পারেন। তবে বিসিবি যদি সিরিজের পর ছাড়পত্র দেয়, তাহলে তিনি হয়তো কেবল শেষ তিনটি ম্যাচ খেলতে পারবেন। আবার যদি দিল্লি প্লে-অফে ওঠে, তাহলে ম্যাচ সংখ্যা বাড়তেও পারে। অন্যদিকে, পাকিস্তান সফরের জন্য জাতীয় দল ঘোষণার সময় আবার তাঁকে দরকার হতে পারে ২৭ মে থেকে। নিজের ইনস্টাগ্রামে মুস্তাফিজ লিখেছেন, 'দুবাই যাচ্ছি ম্যাচ খেলতে, দোয়া করবেন।' তবে আইপিএল নিয়ে তিনি মুখ খোলেননি।