দারুণ ছন্দে বাংলার বোলাররারঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) রেলওয়েজের বিরুদ্ধে চালকের আসনে বাংলা। বোনাস পয়েন্ট সহ জেতার দোরগোড়ায় বাংলা। দ্বিতীয় দিনে বল হাতে দাপট দেখিয়েছিলেন সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। তৃতীয় দিনে বাকি কাজটা করলেন শাহবাজ আহমেদ, রাহুল প্রসাদরা। প্রথম ইনিংসে ২২২ রানে অল আউট হয়ে যায় রেলওয়েজ।
ফলো অন করানোর সিদ্ধান্ত বাংলার
প্রথম ইনিংসে ২৫২ রানের লিড পেয়ে রেলওয়েজকে ফলো-অন করানোর সিদ্ধান্ত নেন বাংলার অধিনায়ক সুদীপ ঘরামি। আর তারপরেই ৫ উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলা। তৃতীয় দিনের শেষে রেলওয়েজের স্কোর ৫ উইকেটে ৯০। ইনিংসে হার এড়াতে এখনও প্রয়োজন ১৬২ রান। বড় অঘটন না ঘটলে বাংলার ম্যাচ জয় এখন সময়ের অপেক্ষা।
বিরাট চাপে রেলওয়েজ
তৃতীয় দিনের শুরুটা খারাপ করেনি রেলওয়েজ। ভার্গব মেরাইয়ের (৩৭) সঙ্গে ক্রিজে ছিলেন উপেন্দ্র যাদব (২০)। সেই জুটি ভাঙতে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল বাংলার বোলারদের। ১৪৮ রানের জুটি গড়েন দু’জনে। তবে সেই জুটিতে ভাঙন ধরান মহম্মদ কাইফ। ১৭৮ বলে ৭০ রান করে আউট হন উপেন্দ্র যাদব। শূন্য করেন কর্ণ শর্মা। একটুর জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় ভার্গবের। ১৯৪ বলে ৯১ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি। শেষে ২২২ রানে অল আউট হয়ে যায় রেলওয়েজ।
তৃতীয় দিনেও ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে রেলওয়েজ
একটা সময়ে ৬৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুকছিল রেলওয়েজ। দু’টি করে উইকেট তুলে নেন শাহবাজ আহমেদ এবং রাহুল প্রসাদ। আর একটি উইকেট পেয়েছেন মহম্মদ কাইফ। প্রথম ইনিংসের মতো এ বারেও লড়াই চালাচ্ছেন ভার্গব মেরাই (২০) ও উপেন্দ্র যাদব (১২)। তৃতীয় দিনের শেষে রেলওয়েজের স্কোর ৫ উইকেটে ৯০। পিছিয়ে ১৬২ রানে। শেষ দিনে দ্রুত উইকেট তুলে নিতে পারলে ইনিংসে জয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে বাংলার সামনে। এর ফলে বোনাস পয়েন্ট পেতে পারে বাংলা। আর সেদিকেই নজর লক্ষ্মী রতন শুক্লার দলের।