UP T20 লিগ 2025 (উত্তর প্রদেশ প্রিমিয়ার লিগ ২০২৫) তে ফের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ছায়া। কাশী রুদ্রের টিম ম্যানেজার অর্জুন চৌহানকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ করা হয়েছে যে ফিক্সার চেয়েছিলেন দলের একজন খেলোয়াড় তাঁর স্ট্র্যাটেজি অনুসারে খেলুক। অর্জুন চৌহান তাৎক্ষণিকভাবে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং বিসিসিআই (ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড) কে বিষয়টি জানান।
ম্যাচ ফিক্সার কীভাবে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের পরিকল্পনা করেছিল?
বিসিসিআই-এর তদন্তে জানা গিয়েছে, সন্দেহভাজন একজন বারবার সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্জুনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছিলেন এবং তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন। এই কথোপকথন ১৯ আগস্ট রাত ১১:১২ টায় ইনস্টাগ্রাম আইডি vipss_nakrani-এর মাধ্যমে হয়েছিল। প্রথমে পদোন্নতির
কথা বলা হয়েছিল, তারপর ফোন করার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং এর পরে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য সরাসরি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই সন্দেহভাজন ইউজার বলেছিলেন যে এক কোটি টাকা দেওয়া হবে, যার মধ্যে ৫০ লক্ষ টাকা অর্জুন নিজের কাছে রাখবেন। আরও বলা হয়েছিল যে অর্থটি মার্কিন ডলারে অনলাইনে দেওয়া হবে।
বিসিসিআই এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে
এই পুরো ঘটনায় দুর্নীতি দমন বিভাগের আঞ্চলিক ইন্টিগ্রিটি ম্যানেজার হরদয়াল সিং চম্পাওয়াত একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জয়পুরের মধ্য অঞ্চলের দুর্নীতি দমন ইউনিটে কর্মরত এবং বর্তমানে লখনউতে কর্মরত। চম্পাওয়াত বলেন যে অর্জুনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই ষড়যন্ত্রের সত্য উন্মোচন হতে পারে এবং বিসিসিআই এটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করেছে।
সুশান্ত গল্ফ সিটিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে
সুশান্ত গল্ফ সিটি থানার পরিদর্শক উপেন্দ্র সিং বলেছেন যে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ দল ম্যানেজারের বক্তব্য রেকর্ড করবে এবং ডিজিটাল প্রমাণ পরীক্ষা করা হবে। বর্তমানে, সন্দেহভাজন ব্যবহারকারীর পরিচয় এবং অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, এই ঘটনায় বড় ধরনের তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।
এর আগে আইপিএল-এ স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি হয়েছিল। সেই সময়ও উত্তাল হয়েছিল গোটা ক্রিকেট মহল। আইপিএল-ের ভাবমূর্তিও কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিল। তবে এরপর থেকেই এই ধরণের দুর্নীতি রুখতে আরও করা হয়েছে বিসিসিআই। ফলে এই ধরণের ঘটনা ঘটলে এখন আরও তৎপর বোর্ড।