ফের টি২০ বিশ্বকাপ জিতল ভারত। ফাইনালে ৯ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ট্রফি ধরে রাখল ভারতের মেয়েরা। কুয়ালালামপুরের বাইমাস ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিততে ভারতকে করতে হত মাত্র ৮৩ রান। ২০২৪ সালে টি২০ বিশ্বকাপ জেতেন রোহিত শর্মারা। পরের বছরেই মেয়েদের যুবদলও বিশ্বসেরা হল। ভারতের হয়ে গোঙ্গাদি ত্রিশা নিয়েছেন তিনটি উইকেট। বৈষ্ণবী শর্মা, পারুণিকা সিসোদিয়া এবং আয়ুশি শুক্লা দু'টি করে সাফল্য পেয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা খুব খুব খারাপ করে। দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম ধাক্কাটা খায় তারা। বাঁহাতি স্পিনার পারুনিকা সিসোদিয়া সিমোন লরেন্সকে (০) বোল্ড করে। তখন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর মাত্র ১১ রান। এরপর মিডিয়াম পেসার শবনম শাকিল দ্বিতীয় ওপেনার জেমা বোথাকে আউট করেন। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। বোখা ১৪ বলে তিনটি চার মেরে ১৬ রান করেন। ২০ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় ধাক্কা পায়। বাঁহাতি স্পিনার আয়ুশি শুক্লা, দিয়ারা রামলাকানকে (৩) বোল্ড করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পরপর উইকেট পড়েছে। অধিনায়ক কায়লা রেইনকে (৭ রান) প্যাভিলিয়নে পাঠান পার্টটাইম স্পিনার গোঙ্গাদি ত্রিশা। ক্যারাবো ম্যাসিওকে (১০ রান) আউট করেন আয়ুশি শুক্লা। ৪৪ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মাইকি ভ্যান ভুরস্ট এবং ফে কাউলিং ইনিংস সামলানোর চেষ্টা করেন। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনের মধ্যে ছিল ৩০ রানের জুটি।
এরপর একই ওভারে দুই উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থা আবার খারাপ করে দেন গোঙ্গাদি ত্রিশা। ত্রিশা মাইকি ভ্যান ভুর্স্টকে স্টাম্প আউট করেন। এরপর সেশনি নাইডুকে (০) বোল্ড করেন তিনি। মাইক ভ্যান ভুরস্ট ১৮ বলে তিনটি চার মেরে ২৩ রান করেন।
ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারত। ৫২ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় ভারতের মেয়েরা। জি কমলিনী ও গোঙ্গাদি ত্রিশা মিলে ৪.৩ ওভারে ৩৬ রানের জুটি গড়েন। ৮ রান করার পর কায়লা রেইনেকে সিমোন লরেন্স আউট করলেও ভারতের জিততে সমস্যা হয়নি। সেখান থেকে ত্রিশা ও সনিকা চালকে দুর্দান্ত জুটি গড়ে ভারতকে জয়ের গন্তব্যে নিয়ে যান। ত্রিশা ৮টি চারের সাহায্যে ৩৩ বলে অপরাজিত ৪৪ রান করেন। যেখানে সানিকা ২৬ রানে অপরাজিত ফেরেন।