কী হয়েছিল তিলক বর্মার?এশিয়া কাপ ফাইনালে তাঁর ব্যাটের উপর ভর করেই পাকিস্তান বধ করে ভারত। আর সেই তিলক ভার্মাই নিজের কেরিয়ারের সবথেকে খারাপ সময়ের কথা জানালেন। ২২ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটার জানান, ২০২২ সালে Rhabdomyolysis নামক একটি জটিল অসুখে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। যার ফলে তার পেশি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। শুধু তাই নয় পেশির কোষ ভেঙে যাচ্ছিল।
আর এই অসুখে আক্রান্ত হয়েই মহা বিপদে পড়েছিলেন। এই সময় তাঁকে কেরিয়ার এবং ফিটনেস, দুই ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়তে হয়। যদিও এই সময় পাশে ছিল তাঁর আইপিএল দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সেই কারণে দলকে এবং দলের মালিক আকাশ আম্বানিকে ধন্যবাদ জানান।
গত কয়েক বছর ধরেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তুরুপের তাস হয়ে উঠেছেন তিলক ভার্মা। তাঁর উপর ভর করে বহু ম্যাচ জিতেছে দল। সেই কারণে ২০২৪ সালে তাঁকে ধরে রাখে মুম্বই ইন্ডিয়ন্স। আর সেই সিজনেই দারুণ পারফর্ম করেন তিলক। যার ফলে তাঁকে ভারতের জাতীয় দলেও ডাকা হয়। এখন তো তিনি রীতিমতো ইন্ডিয়া টিমের স্টার। তাঁর কাঁধে চেপেকে দলকে জেতানোর দায়িত্ব।
কী জানালেন তিনি?
'আমার প্রথম আইপিএল সিজনের পরই শরীর নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলাম। আমি ফিট থাকতে চাইতাম। তবে সেই সময় Rhabdomyolysis নামক একটি জটিল অসুখ চেপে ধরে। যার ফলে পেশি খুব বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ত। হতো পেশির ক্ষতি।', ব্রেকফাস্ট অব দ্য চ্যাম্পিয়ন এপিসোডে এসে এই কথাই জানালেন তিলক।
হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়
কখনও বসে থাকার পাত্র নন তিলক। তাই নিজেকে ফিট রাখতে খুবই খেটেছিলেন। বিশ্রামের দিনগুলিতেও করেছিলেন জিম ট্রেনিং। যার ফলে বিপদ বাড়ে। এই কারণে তাঁর পেশি সেরে ওঠার সুযোগই পায়নি। এমনকী এই জটিল অসুখ নেয় পিছু। এমন পরিস্থিতিতে আকাশ আম্বানি সরাসরি জয় শাহের সঙ্গে কথা বলেন। তখনই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সময় ডাক্তাররা জানান, একটু দেরি হলে আরও বিপদ হয়ে যেত।
তবে সেই সমস্যা থেকে একবারে সেরে উঠেছেন তিলক। এখন তিনি ভারতের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার। তাঁর উপর এখন ম্যাচ জেতানোর দায়িত্বও রয়েছে।
আর খ্যাতির একদম শীর্ষে থাকার অবস্থাতেই নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে বিরাট খোলসা করলেন তিলক। তাই এখন থেকে রোজ রোজ জিম করার আগে সাবধান হন। নইলে যে বিরাট বড় বিপদ হতে পারে।