কলকাতায় ইংল্যান্ডের (India vs England) বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে সুযোগ পাননি। তবে চেন্নাইয়ে সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চিনিয়ে দিলেন তিলক ভর্মা (Tilak Varma)। ভারতীয় দলকে (Indian Cricket Team) এনে দিলেন দারুণ জয়। কঠিন সময় মাথা ঠান্ডা রেখে মাত্র ৫৫ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর ইনিংস দেখেই বোঝা যায় এই বয়সেই কতটা পরিনত হায়দরাবাদের এই ক্রিকেটার। তবে ক্রিকেটার হয়ে ওঠার যাত্রা একেবারেই সহজ ছিল না তাঁর জন্য।
তিলক ভর্মাকে ২০২২ আইপিএল-এর মেগা নিলামে ১.৭০ কোটি টাকায় কিনেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। হায়দরাবাদের বাসিন্দা, তাঁর বাবা নাম্বুরি নাগারাজু পেশায় একজন ইলেকট্রিশিয়ান। বাবা তাঁর উপার্জিত সমস্ত টাকা দিয়ে তিলক ভর্মাকে ক্রিকেটের সমস্ত সামগ্রী কিনে দিয়েছিলেন, যাতে তিনি খেলার স্বপ্ন শেষ না হয়। আর সেটাই ছিল তিলকের কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। বাবাকে কষ্ট করতে দেখেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন সার্থক করতে উঠে পড়ে লাগেন তিলক।
আইপিএল-এ সুযোগ পাওয়ার আগে পর্যন্ত তিলক ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। কিন্তু মেগা নিলামে ১.৭০ কোটি টাকা বিড করে তিলক ভার্মার ভাগ্য বদলে দেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএল-এর দ্বিতীয় ম্যাচেই ৫০ করা তিলক মুম্বইয়ের হয়ে সর্বকনিষ্ঠ অর্ধ শতরানকারী হিসেবে রেকর্ড গড়েন। ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলে ছিলেন তিনি। ভারত সেবার ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হেরে যায়। তবে সেই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান তিলক। ঘরোয়া ক্রিকেটে লাগাতার ভাল পারফর্ম করতে থাকেন তরুণ এই ক্রিকেটার।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় মারকুটে তিলককে দেখা গিয়েছিল। জোফ্রা আর্চারের শেষ ওভারে তাঁকে ফের জোড়া ছক্কা হাঁকান তিলক ভার্মা। ইনিংসের ১৯তম ওভারে লিভিংস্টোনকে বল দিয়ে সারপ্রাইজ দিয়েছিলেন বাটলার। কিন্তু পরিকল্পনায় একদম জল ঢেলে দেন বিষ্ণোই। তিলককে যখন আটকাতে ব্যস্ত ইংলিশ বোলাররা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাউন্ডারি হাঁকান ভারতীয় স্পিনার। শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাকি ছিল ছ’রান। জেমি ওভারটনের বলে সহজেই সেই রান তুলে নেন তিলক। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ইতিমধ্যেই ২-০ এগিয়ে গেল ভারতীয় দল।