মাত্র ২৭ রানে অলআউট হল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্টের ইতিহাসে এটিই দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে শেষবার ১৯৫৫ সালে নিউজিল্যান্ড টিম মাত্র ২৬ রানে আউট হয়েছিল। এর পর থেকে এটিই সবচেয়ে খারাপ স্কোর।
জামাইকায় ডে-নাইট টেস্টের তৃতীয় দিনে, এ যেন এক ঐতিহাসিক বিপর্যয়। ১৭৬ রানে ম্যাচ জিতল অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে ক্লিন সুইপ করে নিল অজিরা।
এই ২৭ রানে অল আউটের পিছনে যে অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্কের অবদান রয়েছে, তা বলাই যায়। কেন? মাত্র ১৫ বলে ৫ উইকেট তুলে নেন স্টার্ক।
এটাই আবার স্টার্কের ১০০তম টেস্ট ছিল। আর সেখানেই মাত্র ১৫ বলে ৫টি উইকেট নেন। এটাও রেকর্ড। টেস্ট ক্রিকেটে এটিই এখনও পর্যন্ত দ্রুততম ৫ উইকেটের রেকর্ড।
মিচেল স্টার্ক এই ম্যাচেই ৪০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন। সব মিলিয়ে তাঁর উইকেট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৪০২-তে। তিনি বাদে আর মাত্র ৩ জন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারই এই ৪০০ উইকেটের মাইলস্টোন ছুঁতে পেরেছিলেন। তাঁরা হলেন নাথান লায়ন, গ্লেন ম্যাকগ্রা ও শেন ওয়ার্ন।
এদিন স্টার্কের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্কট বল্যান্ডও দুর্দান্ত বল করেন। এক ওভারে হ্যাটট্রিক করেন। ফলে সহজেই বল্যান্ড ১৩তম ওভারে জাস্টিন গ্রিভস (১১ রান), শামার জোসেফ ও জোমেল ওয়ারিকানকে পরপর তিন বলে আউট করেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ রান আসে জাস্টিন গ্রিভসের ব্যাট থেকে। সেটাও মাত্র ১১ রান। দলের বাকি ব্যাটাররা একের পর এক ড্রেসিং রুমে ফিরতে থাকেন।
স্টার্ক শুরুতেই ক্যারিবিয়ান ওপেনার জন ক্যাম্পবেলকে প্রথম বলে আউট করে দেন। তারপর কেভলন অ্যান্ডারসন ও ব্র্যান্ডন কিং পরপর দুই বলে আউট হন। এরপর মিকাইল লুইস (৪ রান) ও শাই হোপ (২ রান)-কেও আউট করেন স্টার্ক। শাই হোপ যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কার্যত সমস্ত 'হোপ' হারিয়ে ফেলেন ক্যারিবিয়ানরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যাপ্টেন রস্টন চেজও শূন্য রানে আউট হন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কফিনে শেষ পেরেকটি নিঃসন্দেহে বল্যান্ডের হ্যাটট্রিক।
এই সিরিজের পর এবার পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে দুই দল। সেই সিরিজ শুরু হবে ২১ জুলাই, জ্যামাইকায়। সেখানে ক্যারিবিয়ানরা অজিদের বিরুদ্ধে বদলা নিতে পারে কিনা, এখন সেটাই দেখার।