রিচা ঘোষের বাবা কী বললেন?মহিলা ক্রিকেটে ইতিহাস। পুরুষদের পর মেয়েরা। সব কিছুর থেকে বড় কথা, প্রথম বাঙালি বিশ্বকাপজয়ী। রিচা ঘোষ। গত কয়েক বছর ধরেই ভারতীয় দলের উইকেট রক্ষা করছেন। ব্যাট হাতে রান করছেন। তবে এই বিশ্বকাপের মঞ্চে তিনি আরও ভয়ঙ্কর। একের পর এক বিধ্বংসী ইনিংস। বিশ্বজয়ের পরের দিন সকালে bangla.aajtak.in কথা বলল তাঁর বাবা মানবেন্দ্র ঘোষের সঙ্গে।
মধ্যরাতে বিশ্বজয়ের পর সকাল অবধি দু চোখের পাতা এক করতে পারেননি। আনন্দে ভেসে যাচ্ছে গোটা দেশ। সেখানে গর্বিত পিতা জানালেন, এখনও নাকি রিচার সঙ্গেই কথা বলা হয়নি তাঁর। বললেন, 'আসলে এটার থেকে বড় সাফল্য তো আর কিছু হয় না।' কিছুটা থেমে ফের বলতে শুরু করলেন, 'এই জয়ের যে আনন্দ তা ভাষায় বোঝানোর মতো ক্ষমতা আমার নেই। সমস্যা হয়। আমরা অ্যাকশনে যেটা পারি সেটা মুখে বলা খুব মুশকিল।'
ভারতের জয়ে রিচার অবদান বিরাট। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২৪ বলে ৩৪ রান। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাত্র ১৬ বলে ২৬ রানের ক্যামিও। আর উইকেটের পেছনে বিশ্বস্ত হাত। আর সে কারণেই তৃপ্ত তাঁর বাবা। বললেন, 'এই ধরনের সাফল্য আরও মধুর হয়ে যায় মা-বাবার কাছে, যদি তাঁদের সন্তানরা একটা বড় ভূমিকা পালন করে। গোটা দলটাই ভাল খেলেছে। কিন্তু তার মধ্যে যদি আমাদের সন্তানরা একটু রোল প্লে করে তখন কিন্তু স্যাটিসফ্যাকশনটা আরও বেশি হয়।'
বাড়িতে ফেরার পর কী রান্না করে খাওয়াবেন? মানবেন্দ্র জানালেন, 'এটা একেবারেই ওর মা ভাল বলতে পারবে। ওকে তো সবসমই খুব নিয়মের মধ্যে থাকতে হয়, ফলে খুব বেশি ইচ্ছে থাকলেও করা যাবে কিনা জানি না। তবে বিশ্বকাপ জিতেছে। দুই একদিন একটু অনিয়ম চলতেই পারে। সে জন্যই ফ্রায়েড রাইস হবে। বাকিটা আসলে এখনও ঠিক করে উঠতে পারিনি।'
কথা বলতে বলতেই রিচার ছোটবেলায় ফিরে গেলেন তাঁর বাবা। বললেন, 'ছোট থেকেই ও আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছে। সেই স্বপ্নে আমরাও বিশ্বাস করে এসেছি। আজ সেই সব সত্যি হল।' শিলিগুড়ি ফিরলে গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন হয়ত হবে। কিন্তু ঠিক কী কী হবে? কীভাবে টা হবে সেটা এখনও ঠিক করার মতো সময় পাননি মানবেন্দ্র। তবে আপাতত ফোন ছেড়ে বিশ্রাম নিতে চান। রাতভর সবার সঙ্গেই কথা বলেছেন, মেতেছেন উৎসবে। এবার তাঁরাও একটু ক্লান্ত।