এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কম্বোডিয়ার ক্লাব ফনম পেনহ ক্রাউন এফসি-র বিরুদ্ধে জয় পেল ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা। ৭০ মিনিটে লাল-হলুদের মেয়েদের এগিয়ে দেন ফাজিলা ইকুয়াপুট। যদিও প্রথমার্ধেই একটা গোল করে ফেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে অফসাইডের জন্য তা বাতিল হয়। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটা সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে গোল হয়নি।
কীভাবে এল গোল?
ম্যাচ শেষ হওয়ার ২০ মিনিট আগে গোল করেন ফাজিলা। রেস্টি নানজারি দারুণভাবে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে কোণাকুনি পাশ বাড়িয়ে দেন সতীর্থ ফাজিলাকে। গোলকিপার চিয়া ফারিয়া সময়মতো বেরিয়ে আসতে না পারায় বল একেবারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ছোট্ট ট্যাপ ইনে বল জালে জড়িয়ে দিতে ভুল করেননি ফাজিলা। তাঁর সেই গোলেই শেষ অবধি জয় পায় ইস্টবেঙ্গল।
বারবার চাপ বাড়িয়েছে ইস্টবেঙ্গল
৮৩ মিনিটে আরও একটা সুযোগ এসে গিয়েছিল ব্যবধান বাড়ানোর, তবে দূর থেকে নেওয়া দুর্বল শট বাঁচিয়ে দেন ফনম পেনহ ক্রাউন এফসি-র গোলকিপার। গোটা ম্যাচ জুড়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা। সেখানে বারবার নিজেদের দুর্গ সামাল দিতেই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে ফনম পেনহ ক্রাউন এফসি-র ফুটবলারদের। ম্যাচের একেবারে শেষ লগ্নে তাদের গোলকিপার চিয়া ফারিয়া, গোল ছেড়ে বেরিয়ে এসে সেই ফাজিলাকেই ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন।
এএফসি কাপে এটাই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রথম ম্যাচ নয়। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা প্রথম ম্যাচ। ইন্ডিয়ান উইমেন লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে, এএফসি কাপে খেলতে নেমেছিল লাল-হলুদের মেয়েরা। আর সেই আসরে প্রথম ম্যাচেই কম্বোডিয়া খেলতে গিয়ে জয় ছিনিয়ে আনলেন এলেংবাম পান্থোইরা। যা নিঃসন্দেহে স্বস্তি দেবে ইস্টবেঙ্গল ফ্যানদের।
গত কয়েক মরসুমে সর্বভারতীয় ফুটবলে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স মানে শুধুই হতাশা। তবে পুরুষদের ব্যর্থতার মধ্যেও আশার আলো দেখিয়েছে লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ক্লাবের মহিলা দল। কম্বোডিয়ায় পৌঁছে দু'দিনের অনুশীলন সেরে এই ম্যাচ খেলতে নামে অ্যাগনি অ্যান্ড্রসের মেয়েরা। এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নস লিগের কথা মাথায় রেখেই শক্তিশালী দল গঠন করেছে লাল-হলুদ টিম ম্যানেজমেন্ট।
কঠিন গ্রুপে ইস্টবেঙ্গল
ধারে ভারে প্রতিপক্ষরা এগিয়ে থাকায় বেশ কঠিন গ্রুপে ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা। ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগ বিজেতারা গ্রুপ ই-তে ফনম পেনহ ক্রাউন এফসির এবং কিচি এসসির সঙ্গে রয়েছে। এর মধ্যে ফনম পেনহ ক্রাউন এফসিকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে দেওয়ায় অনেকটাই সুবিধা হল ইস্টবেঙ্গলের।